পচনন্দাকে খুইয়ে ববির মতকেই প্রধান্য মমতার
একজন প্রিয়। আরেকজন অতিপ্রিয়। দু'জনের মধ্যে বেছে নিতে গিয়ে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাল্লাভারী রইল তাঁর অতিপ্রিয় ববি হাকিমেরই। প্রকাশ্যে গার্ডেনরিচকাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার পাশে দাঁড়িয়েও রয়ে গেলেন ববি হাকিম। আর শাস্তির কোপ গিয়ে পড়ল পুলিস কমিশনারের ওপর। সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতার পুলিস কমিশনার রঞ্জিত কুমার পচনন্দাকে।
একজন প্রিয়। আরেকজন অতিপ্রিয়। দু'জনের মধ্যে বেছে নিতে গিয়ে শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাল্লাভারী রইল তাঁর অতিপ্রিয় ববি হাকিমেরই। প্রকাশ্যে গার্ডেনরিচকাণ্ডে অভিযুক্ত মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নার পাশে দাঁড়িয়েও রয়ে গেলেন ববি হাকিম। আর শাস্তির কোপ গিয়ে পড়ল পুলিস কমিশনারের ওপর। সরিয়ে দেওয়া হল কলকাতার পুলিস কমিশনার রঞ্জিত কুমার পচনন্দাকে।
পচনন্দার অপসারণ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অ্যাকশন নিতে দেরি হয়েছে বলে, আমাকে এই অ্যাকশনটা নিতে হয়েছে।" রাজ্যপাল জানিয়েছেন, "আমি মনে করেছিলাম অধিকাংশ অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করা হয়েছে..." অন্যদিকে, ঘটনার পরপরই মন্ত্রী ববি হাকিম দাবি তোলেন, "যাঁরা মারপিঠ করেছে, যাঁরা গুলি করেছে, তাঁদেরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।" ববি এর সিপি বতর্কে রাজ্যপালের মন্তব্য, "পুলিস কমিশনারকে সরানোর অনেক কারণ থাকতে পারে। গত কয়েকদিনের ঘটনার জেরে যদি তাঁকে সড়ানো হয়, তাহলে এটা স্পষ্ট যে, কোথাও একটা ভুল হয়েছে।"
রাজ্যপাল বা পুরমন্ত্রী দু'জনেই বলছেন, অভিযুক্তদের ধরা হয়েছে। অর্থাত্ অ্যাকশন নিয়েছে পুলিস। তবু মুখ্যমন্ত্রীর মত ব্যবস্থা না নেওয়াতেই কোপ পড়ল পচনন্দার ওপর।
তাহলে কেন পচনন্দাকে সরিয়ে দেওয়া হল? ঘটনাপ্রবাহ বলছে, গার্ডেনরিচে কলেজ নির্বাচন ঘিরে গুলি চলে, মৃত এসআই। নিজের বাহিনীর মনোবল বাঁচাতে মুন্নাকে গ্রেফতারের সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন নগরপাল। পুরমন্ত্রী কিন্তু তাতে নারাজ। শেষপর্যন্ত নগরপালকেই সরিয়ে পুরমন্ত্রীর পক্ষে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। যদিও কারণ হিসেবে বলছেন, "অ্যাকশন নিতে দেরি হয়েছে বলে, আমাকে এই অ্যাকশনটা নিতে হয়েছে।"
অ্যাকশন নিয়েছেন। তবু অ্যাকশন নিতে দেরি হওয়ার অভিযোগ তুলে নগরপালকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বারবার যিনি পুলিস অ্যাকশনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন, পুলিসি তদন্তকে ভুল পথে চালানোর চেষ্টা করেছেন, এমনকি হামলার নেতৃত্ব দেওয়া মহম্মদ ইকবাল ওরফে মুন্নাভাইকে প্রকাশ্যেই আড়াল করার চেষ্টা করেছেন সেই ফিরহাদ ওরফে ববি হাকিম থেকে গেলেন নিজের পদেই। অতিপ্রিয় ববিকে বাঁচাতে প্রিয় নগরপালকে সরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।