রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রচারে নামছে সিপিআইএম
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, মহিলাদের ওপর ক্রমাগত বেড়ে চলা আক্রমণের ঘটনা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের মতো বিষয়গুলি নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে এবার প্রচারে নামতে চলেছে সিপিআইএম। রবিবার দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, মহিলাদের ওপর ক্রমাগত বেড়ে চলা আক্রমণের ঘটনা এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যের মতো বিষয়গুলি নিয়ে জনমত গড়ে তুলতে এবার প্রচারে নামতে চলেছে সিপিআইএম। রবিবার দুদিনের রাজ্য কমিটির বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের রাজ্য কমিটির বৈঠকে আলোচনায় বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে এই ইস্যুগুলি। একই সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে প্রচার কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বৈঠকে।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক খুন এবং সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা। বামকর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন কংগ্রেস কর্মীরাও। নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন সাধারণ মানুষ। বেড়ে চলেছে ধর্ষণ এবং মহিলা নিগ্রহের ঘটনা। অভিযোগ সিপিআইএম নেতৃত্বের। শনিবার থেকে শুরু হওয়া সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকেও উঠে আসে রাজ্যের আইনশৃভঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি প্রসঙ্গ। একই সঙ্গে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও।
লাগাতার দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১৬ জুলাই থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করছে বামেরা। এদিন সেই আন্দোলনের রূপরেখা নিয়েও আলোচনা হয় রাজ্য কমিটির বৈঠকে। ১৬ জুলাই জেলাগুলিতে আইন অমান্য অন্দোলনের পরদিন, ১৭ জুলাই কলকাতা ও শিলিগুড়িতে আইন অমান্য কর্মসূচি পালিত হবে। ৩০ জুলাই ও ৩১ জুলাই খাদ্য নিরাপত্তার দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভ করবে বামেরা। অগাস্ট মাস জুড়ে খাদ্য নিরাপত্তার দাবিতে প্রচার আন্দোলন হবে। ১ সেপ্টেম্বর সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী দিবসে কলকাতা ও শিলিগুড়িতে হবে মহামিছিল। আন্দোলনের দিশানির্দেশিকা তৈরির পাশাপাশি সিপিআইএমের রাজ্য কমিটির প্রথম দিনের বৈঠকে সংগঠনকে আরও শক্তিশালী ও সক্রিয় করার ওপর জোর দিয়েছেন রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু।