আসন্ন উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে ২টি আসন ছেড়ে একটিতে প্রার্থী দেবে সিপিএম
উপনির্বাচন থেকে জোটের পথ মসৃণ করতে চাইছে সিপিএম-কংগ্রেস।
মৌমিতা চক্রবর্তী : লোকসভা ভোটের ভুল শুধরে নিতে মরিয়া কংগ্রেস-সিপিএম। সে কারণে রাজ্যের ৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে সমঝোতা করে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিল আলিমুদ্দিন। বামেদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, খড়্গপুর সদর ও কালিয়াগঞ্জ আসন ছাড়া হবে কংগ্রেসকে। বামেরা প্রার্থী দেবে করিমপুরে।
আসন ভাগাভাগি নিয়ে ইতিমধ্যেই বৈঠক করেছেন সূর্যকান্ত মিশ্র, সোমেন মিত্র ও বিমান বসু। ওই বৈঠকেই ঠিক হয়েছে আগামীর রণনীতি। সব ভোটেই হাত-হাতুড়ি-কাস্তে জোট করে লড়াইয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জের মতো আসন নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে শুরু হয় বিবাদ। তার ফল মেলে লোকসভা ভোটে। কংগ্রেস ২টি আসন জিততে সক্ষম হলেও বামেদের ঝুলিতে শূন্য। আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর, আগামী ৩০ অথবা ৩১ অক্টোবর বামফ্রন্টের বৈঠকে চূড়ান্ত হবে প্রার্থীর নাম।
সিপিআইএমের নির্দিষ্ট কিছু পার্টি লাইন রয়েছে। পার্টি কংগ্রেস ও প্লেনামের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁরা কোনও রাজনৈতিক আঁতাত করতে পারবেন না। কিন্তু সীতারাম ইয়েচুরি ইঙ্গিত দিয়ে যান যে, এই খসড়াতে কিছু সংশোধন আনা হবে। কারণ রাজ্যের পরিস্থিতির বিচারে সিপিআইএম মনে করছে, তাঁরা একা লড়ার অবস্থায় নেই। লোকসভা ভোটে ভরাডুবি হয়েছে সিপিআইএম-এর। রাজ্যে খাতা-ই খুলতে পারেনি এককালের ৩৪ বছরের রাজ্যের শাসক বামেরা। অন্যদিকে, কংগ্রেস পায় মাত্র ২টি আসন। অবস্থা এতটাই সঙ্গিন যে, জাতীয় দলের মর্যাদা কার্যত খোয়াতে বসেছে সিপিআইএম। এহেন পরিস্থিতিতে জোট না করলে দলের অবস্থা আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন নেতারা। কংগ্রেস ও সিপিএম নেতারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, জোট করেই বিজেপি ও তৃণমূলকে রোখা সম্ভব। যে যেখানে শক্তিশালী সেখানেই প্রার্থী দেবে। শুধু উপনির্বাচন নয়, আগামী পুরসভাগুলিতে থাকবে জোট।
সিপিএম-কংগ্রেস শিবির মনে করছে, নির্বাচনের আগে জোট হলে সুবিধাবাদী বার্তা যাচ্ছে মানুষের কাছে। সেই ধারণা ভাঙতে হবে। আর তা করতে গেলে আগে থেকে হাত ধরাধরিই বাস্তবের দাবি। সেটা মেনেই উপনির্বাচনে কংগ্রেসকে ২টি আসন ছেড়ে দিতে চলেছে সিপিএম। আগামী ২৫ নভেম্বর কালিয়াগঞ্জ, খড়্গপুর সদর ও করিমপুরে বিধানসভার নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২৮ নভেম্বর।
আরও পড়ুন- বিজেপির মায়া কাটিয়ে তৃণমূলে ফিরছেন দিদির কানন, ধাক্কা মুকুল-দিলীপের