বাহিনী জট কাটাতে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে চিঠি দিল কমিশন

অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ঘিরে জট কাটাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। একাধিক দফায় ভোট আর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে প্রথম থেকেই রাজি ছিল না রাজ্য সরকার। শেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঁচ দফায় ভোট আর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তই গিলতে হয়েছে সরকারকে। কিন্তু সরকারের টালবাহানায় ভোট গড়িয়েছে রমজান মাসে।

Updated By: Jul 17, 2013, 06:20 PM IST

অবশেষে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ঘিরে জট কাটাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি দিল নির্বাচন কমিশন। একাধিক দফায় ভোট আর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে প্রথম থেকেই রাজি ছিল না রাজ্য সরকার। শেষে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পাঁচ দফায় ভোট আর কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তই গিলতে হয়েছে সরকারকে। কিন্তু সরকারের টালবাহানায় ভোট গড়িয়েছে রমজান মাসে।
কোর্টে হেরে কেন্দ্রীয় বাহিনী ঠেকাতে নতুন কৌশল নেয় সরকার। প্রথম দু`দফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে কেন্দ্রের আইনের গুগলিতে কমিশনকে বোল্ড করে দিয়েছে সরকার। ৭৩ শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না। ফলে নির্বিচারে ছাপ্পা ভোট, বুথ জ্যাম, প্রার্থী আটকের সাক্ষী থেকেছে পঞ্চায়েত ভোটের প্রথম দফা। 
দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সেক্টর অফিসের বাইরেই যেতে দেওয়া হয়নি। ছাপ্পা ভোট, বুথ জ্যাম, প্রার্থী আটকের পাশাপাশি দ্বিতীয় দফায় প্রাণ গেছে তিনজনের। দ্বিতীয় দফার ভোটে বেনিয়ম ঠেকাতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন সাধারণ মানুষই। কিন্তু খুব একটা সক্রিয় হয়নি কমিশন। নির্বাচন কমিশনার শুধু বলেছিলেন, বাহিনী নিয়ে সরকারিভাবে কোনও খবর পাইনি। তবে বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি, মোতায়েন ঠিকমতো হয়নি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে আচমকা কড়া প্রতিক্রিয়া দেন কমিশনার।
আর বুধবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠি পাঠাল কমিশন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ম, কোথাও একসঙ্গে চারজনের কম কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা যাবে না। অর্থাত্ একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে একটি বুথ থাকলে সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। সেই গুগলিতেই কমিশনকে বোল্ড করেছে সরকার। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে পাঠানো চিঠিতে কমিশন লিখেছে, বিধি শিথিল করে অন্তত দুজন করে জওয়ান নিয়োগের অনুমতি দেওয়া হোক। কমিশনের মতে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এই অনুরোধ মেনে নিলে পরবর্তী দফাগুলিতে নব্বই শতাংশ স্পর্শকাতর বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়া যাবে।
প্রথম দু`দফার ভোটের পরে গুটিয়ে থাকা কমিশন হঠাত্ কেন মঙ্গলবার বিকেল থেকে সক্রিয় হল? কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার প্রচারে বেরিয়ে আক্রান্ত হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী। কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের রিপোর্ট পেয়ে সক্রিয় হয় এআইসিসি। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। সেসব জানার পরেই সক্রিয় হয় কমিশন। তাতেই প্রশ্নের মুখে পড়ছে কমিশনকেও। কমিশন প্রথম থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব। কিন্তু প্রথম দুদফার ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ঠুঁটো জগন্নাথ করে রাখার পরে, এমনকী তিন জনের মৃত্যুর পরেও কেন সক্রিয় হয়নি কমিশন? তবে কি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আক্রান্ত না হলে সক্রিয় হত না কমিশন?  

.