অয়ন ঘোষাল: মুখ্যমন্ত্রীর এলাকায় মহামিছিলের পর এবার লাগাতার কর্মবিরতি অথবা লাগাতার প্রশাসনিক ধর্মঘটের পথে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। বুধ অথবা বৃহষ্পতিবারের মধ্যেই দিন ঘোষনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই মাসেই রাজ্য প্রশাসন অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মহামিছিলের দিন সভা শেষের মঞ্চ থেকেই ঘোষনা হয়েছিল, লাগাতার কর্মবিরতি বা ধর্মঘট করে রাজ্য সরকারের ওপর ডিএ ইস্যুতে চাপ বাড়াতে হবে। এমনকি বিরোধি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও সেই একই পন্থা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছিলেন।


সোমবার খাদ্য ভবন থেকে তিন কর্মীকে অন্যত্র শাস্তিমূলক বদলির প্রতিবাদে দিনভর একাধিক কর্মসূচি এবং মঙ্গলবার রবীন্দ্রজয়ন্তীর পরেই পরবর্তী রণকৌশল নিয়ে নিজেদের মধ্যে এক দফা বৈঠকে বসতে চলেছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। এই মাসেই লাগাতার কর্মবিরতি বা ধর্মঘটের মাধ্যমে প্রশাসনিক কাজকর্ম অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: জনসংযোগ যাত্রায় জেলা সফরে অভিষেক, আলিপুর আদালতে এসে বড় কথা বলে দিলেন পার্থ


বুধ বা বৃহষ্পতিবারের বৈঠকের পর এই দিন ঘোষনা হতে পারে। শুধু এই মঞ্চ নয়। রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং বারোই জুলাই কমিটির অধীনে থাকা সমস্ত ট্রেড ইউনিয়নগুলিকেও এই প্রশাসনিক কর্মবিরতিতে অংশ নেওয়ার আর্জি জানানো হবে বলে জানিয়েছেন মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ।


মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ডিএর দাবিতে স্লোগান দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। পাশাপাশি ডিএ আন্দোলনকারীদের মঞ্চে আসেন শুভেন্দু অধিকারী-সোনালী গুহরা। নো ভোট টু মমতা স্লোগান তোলেন বিরোধী দলনেতা।


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি মামলায় অভিষেককে সংযুক্ত করার নির্দেশ বিচারপতি অমৃতারও!


কড়া পুলিসি নিরাপত্তায় হাজরা থেকে মিছিল করেন ডিএ আন্দোলনকারীরা। হরিশ মুখার্জি রোডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে ও কালীঘাট দমকলের সামনে দিয়ে হাঁটে মিছিল। সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ অভিষেকের নাম না করে বলেন, উনি একজন সাংসদ ছাড়া আর কিছু নন। রাজ্য সরকার বলেছিল ওটি স্পর্শ্বকাতর এলাকা। আদালত প্রশ্ন করেছিল কেন ওটি স্পর্শ্বকাতর এলাকা? রাজ্য সরকার এর কোনও উত্তর দিতে পারেননি। রাজ্যের মানুষদের জন্য এই রাস্তা খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম। রাজ্য সরকারকে বলে দিতে চাই আমরা আলোচনায় বসে সমস্যার সামাধান করতে চাই। যতদিন আমাদের রাস্তায় বলে থাকতে বাধ্য করবেন ততদিন সরকারের দুর্ভোগ বাড়বে। আন্দোলন করছি পালস বুঝে। মানুষ কী চাইছেন তা বুঝি। কর্মচারী, শিক্ষকরা চাইছেন, সাধারণ মানুষ চাইছেন প্রশাসনটাকে স্তব্ধ করে দিন আপনারা। মানুষের অধিকার পেতে গেল, বেকার ছেলেদের চাকরি পেতে গেল লাগাতার ধর্মঘটের প্রয়োজন। আমরা সেই পথেই হাঁটব।  


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)