নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমের দেউচা পাচামিতে দেশের সর্ববৃহত্ কয়লা খনি খুলতে চলেছে সরকার। অভিযোগ, সেই প্রকল্পে জমি দেওয়া নিয়ে এলাকার আদিবাসী ও অন্যান্য় মানুষদের ভুল বোঝাচ্ছে এক শ্রেণির মানুষজন। তাঁদের উদ্দেশ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সাফ বার্তা, গরিবের ভাত মেরে কখনও কোনও কাজ করিনি। দেউচা পাচামি, মহম্মদবাজারের মানুষের আমার প্রতি যদি আস্থা থাকে তাহলে বলব, একজন মানুষও বঞ্চিত হবেন না। পাশাপাশি, জমির বর্তমান মূল্যের দ্বিগুণ দাম ও চাকরি দেওয়া হবে জমি দাতাদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার বিধানসভা ভবনে সাধন পাণ্ডে প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর এক সাংবাদিক সম্মেলন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়(Mamata Banerjee)। সেখানেই তিনি বলেন, দেউচা পচামি নিয়ে কেউ কেউ ভুলভ্রান্তি রটনোর চেষ্টা করছে। কয়েকটা মুখকে দেখেছি। তাদের আমি শ্রদ্ধা করি। কোনও কিছু করতে গেলেই না জেনেই বাধা দেওয়া ওঁদের কাজ। একটা জিনিস মনে রাখবেন জোর করে, জবরদস্তি দখল করে আমি কোনও কাজ করি না। গরিবের পেটের ভাত মেরে কোনও কাজ করি না। দীর্ঘদিন বাদে বাংলার এই দেউচা পাঁচামি প্রকল্প বাংলার মুখ হতে চলেছে। প্রায় লক্ষাধিক ছেলে মেয়ের চাকরি হবে। পাঁচটা রাজ্যের হাতে ওই প্রকল্প ছিল। আমরা অনেক লড়াই করে ওই প্রকল্প ছিনিয়ে এনেছি।


দেউচা পাচামির জমি অধিগ্রহণ নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। এলাকার আদিবাসীদের একাংশ জমি না দেওয়ার পক্ষে। তাদের সঙ্গে রয়েছেন অন্যান্য শ্রেণির লোকজনও। এনিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, প্রকল্পের কাজ শুরু করা হচ্ছে সরকারি জায়গাতেই। আসলে আমি জানি কিছু খাদান মালিক আছে। তারা টাকা দিয়ে কিছু লোককে ওখানে নিয়ে যাচ্ছে আর সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। কারণ তারা চায় না তাদের বেআইনি খাদান বন্ধ হয়ে যাক। তারা চায় না তাদের বেআইনি খাদানগুলো সরকার সরকারি খাদানের আওতায় নিয়ে আসুক। এতে তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ রয়েছে। ওখানকার ৫ হাজার ছেলে মেয়েকে হোমগার্ড ও গ্রুপ সি-র চাকরি দেওয়া হবে। এর জন্য পোস্ট তৈরি করা হয়েছে। যারা ওখানে বাড়ি জমি দেবে তারা যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবে। আমাদের জমির দরকার নেই। আমাদের ১ হাজার একর জমি আছে। ওখানে অনেকেই আছেন যাদের নিজের জমি নেই। তাদেরও বঞ্চিত করছি না আমরা। আমরা জমির বদলে জমি দিচ্ছি, বাড়ি তৈরি করে দিচ্ছি। আমরা ক্ষতিপূরণ দিচ্ছি।


ক্ষতিপূরণের বিষয়ে মুখ্যসচিব বলেন, দেউচা পাচামি কয়লা খনি প্রকল্পের(Deucha Pachami Coal Block) জন্য যাঁরা জমি দিচ্ছেন তাদের জমির যে বর্তমান দাম তার দ্বিগুণ দাম দেওয়া হবে। এর পরেও একশো শতাংশ অনুদান দিচ্ছি। রাজ্য়ে আজপর্যন্ত যেসব জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে সেখানে জমির দ্বিগুণ দামের সঙ্গে অতিরিক্ত অনুদান দেওয়া হয়নি। ওখানে যারা বহুদিন বসবাস করছেন অথচ তাদের জমিজমার কোনও রেকর্ড নেই তাদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি জমির বদলে জমি দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও বাড়ি করা জন্য ৭ লাখ টাকা দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও সিফটিং অ্য়ালাউন্স দেওয়া হচ্ছে। যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা রয়েছে তাদের কনস্টেবল বা হোমগার্ডের চাকরি দেওয়া হবে। খাদান মালিকদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।


মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় আরও বলেন, দেউচা পাঁচামি কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য সরকার যে প্য়াকেজ দিয়েছে তা বীরভূমের মানুষ হাতছাড়া করতে চাইবেন না বলেই আমার মনে হয়। শুনেছি, কেউ কেউ ঘরঘর গিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছেন। দেউচা পাঁচামি, মহম্মদবাজার, বীরভূমের মানুষ, আমার প্রতি যদি আপনাদের ভরসা থাকে তাহলে তাহলে আমি বলব একটি মানুষও বঞ্চিত হবেন না। যারা জমি দেবেন তারা নাহ্য জমি দাম পাবেন। এক লাখ কর্মসংস্থান হবে এখানে। আপনাদের সকলের সাহায্য চাইব। এটা সরকারি প্রকল্প। কোনও বেসকারি হাতে এই প্রকল্পের ভার দেওয়া হচ্ছে না।


আরও পড়ুন-'সহবাসের পর তারাপীঠে সিঁদুরদান!' প্রেমিকাকে ফাঁকি দিয়ে বিয়ে করতে যেতেই শ্রীঘরে 'হবু বর'


 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)