প্রয়াত সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিত
হাত ধরাধরি করে দিকশূন্যপুরের দিকে চলে গেলেন দুই সাহিত্যিক। পিনাকী ঠাকুর ও দিব্যেন্দু পালিত।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাত ধরাধরি করে দিকশূন্যপুরের দিকে চলে গেলেন দুই সাহিত্যিক। সকাল ৯টা নাগাদ এসএসকেএমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন কবি পিনাকী ঠাকুর। বেলা গড়াতেই খবর এল, নেই সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতও। বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর।
আরও পড়ুন- প্রয়াত কবি পিনাকী ঠাকুর, রেখে গেলেন ‘চুম্বনের ক্ষত’
বুধবার অসুস্থ হয়ে যাদবপুরের কেপিসি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন দিব্যেন্দু পালিত। বৃহস্পতিবারই মৃত্যু হয় তাঁর।
সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার প্রাপক এই সাহিত্যিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাহিত্যিক আবুল বাশার। তাঁর কথায়, “দিব্যন্দু দা খুব অল্প কথা বলতেন। মননশীল সাহিত্যের যে ধারা, সেই ধারার পৃষ্ঠপোষক ছিলেন তিনি। তাঁকে হারানো খুব কষ্টের। অনেক পড়াশুনা ছিল। অনেক কিছু শেখা যেত। একসঙ্গে অনেক জায়গায় গিয়েছি। বাবার মতো ছিলেন। অভিভাবক হারালাম।”
শোকপ্রকাশ করে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার ২৪ ঘণ্টা-কে জানিয়েছেন, “সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের সময়ের সব থেকে কুশলী রূপকার ছিলেন দিব্যেন্দু পালিত।” বিশিষ্ট সাহিত্যিকের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
Saddened at the passing away of veteran writer Dibyendu Palit. My condolences to his family and admirers
বিশিষ্ট সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিতের প্রয়াণে গভীরভাবে শোকাহত। ওনার পরিবার ও পাঠককুলকে জানাই সমবেদনা— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) January 3, 2019
প্রসঙ্গত, ১৯৩৯ সালের ৫ মার্চ বিহারের ভাগলপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সাহিত্যিক দিব্যেন্দু পালিত। তাঁর হাত থেকেই বাংলা সাহিত্য পেয়েছে ‘সহযোদ্ধা’, ‘অনুভব’-এর মতো অমর সৃষ্টি। ১৯৮৪ সালে ‘সহযোদ্ধা’ উপন্যাসের জন্যই তিনি আনন্দ পুরস্কার পান। এরপরে ‘অনুভব’-এর জন্য পেয়েছিলেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কারও।