Dilip Ghosh | Mamata Banerjee: 'উনি প্রশাসন চালাতে পারেন না, কিছুই সামলাতে পারেন না', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ দিলীপের
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘যে একবার চামড়া তুলেছিল, যে উন্নয়ন নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, তাকে একবার জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে, তিহাড়ে উনি কেমন আছেন? তাহলেই এই ডায়লগবাজির মানে সবাই বুঝতে পারবে’।
![Dilip Ghosh | Mamata Banerjee: 'উনি প্রশাসন চালাতে পারেন না, কিছুই সামলাতে পারেন না', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ দিলীপের Dilip Ghosh | Mamata Banerjee: 'উনি প্রশাসন চালাতে পারেন না, কিছুই সামলাতে পারেন না', মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ দিলীপের](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2023/05/16/420826-dilip.png)
অয়ন ঘোষাল: মঙ্গলবার সকালে ফের আক্রমনাত্মক দিলীপ ঘোষ। সকালে ইকোপার্কে আসেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। সেখানেই রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে শাসকদল এবং সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি।
ব্যাগে শিশুর মরদেহ নিয়ে বাবা
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক। বাচ্চাকে বাঁচানো গেলনা। মরদেহ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থাও করা গেলনা। এর আগে আমরা দেখেছি, মৃত মহিলার দেহ স্বামী ও সন্তান কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে। গ্রামের দিকে দেখেছি। জঙ্গলমহলে দেখেছি। শহরের বুকে আমরা এই জিনিস দেখিনি। যেখানে নাকি সব হাসপাতালে অ্যামবুল্যান্স ফ্রি তে পাওয়া যায়। তাও কেন এই দূরাবস্থা? মুখ্যমন্ত্রী কি সব দিক সামলাতে পারছেন না?’
দিলীপের বিরুদ্ধে পোস্টার জঙ্গলমহলে
তিনি বলেন, ‘কুরমি আন্দোলনকে বিপথগামী করার চেষ্টা চলছে। বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। আমার আবেদন অজিত মাহাত বা সুব্রত বা রাজেশ মাহাতোর মতো কুরমি নেতাদের কাছে, তারা যেন এটাকে সাঁওতালি, মাওবাদী বা আদিবাসী আন্দোলনের দিকে নিয়ে যেতে না দেন। ওখানে আন্দোলনকারীরা তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট নিয়ে গত পঞ্চায়েতে নেতা হয়ে গিয়েছিল। তাহলে কুরমি সমাজের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হবে। তারা যেন এটা মাথায় রাখে। এই নেতাদের জিজ্ঞাসা করুন, কি বিতর্ক, কি আছে এখানে’।
আরও পড়ুন: Mid Day Meal Scam: 'রাজনৈতিক কারণে মিড-ডে মিলে কারচুপির রিপোর্ট'! ফের বিস্ফোরক ব্রাত্য
উন্নয়নের বদলে পিঠের চামড়া তুলে নিতে হবে। নওশাদকে হুমকি আরাবুলের
এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘যে একবার চামড়া তুলেছিল, যে উন্নয়ন নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল, তাকে একবার জিজ্ঞাসা করে দেখতে হবে, তিহাড়ে উনি কেমন আছেন? তাহলেই এই ডায়লগবাজির মানে সবাই বুঝতে পারবে’।
তিন বছরের ডাক্তার!
এই নতুন ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘মমতা ব্যানার্জি নতুন মেডিক্যাল কাউন্সিল তৈরি করুন। উনি কোনও সিস্টেম, সংবিধান, দেশের আইন মানেন না। সব আলাদা করে করতে চান। তিনি সাত দিনে নার্স বানাবেন। তিন বছরে ডাক্তার বানাবেন। তারপর গ্রামে পাঠিয়ে গ্রামের লোককে কি উনি শহীদ করতে চান? তাদের জীবনের মূল্য নেই? তাদের বাঁচার অধিকার নেই? ওনার যখন যা মনে আসে বলে দেন। উনি প্রশাসন চালাতে পারেন না। কিছুই সামলাতে পারেন না। উনি মেডিক্যাল কাউন্সিল বা অন্য অথরিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসে বিকল্প রাস্তা বের করুন। ডাক্তার না পাওয়া গেলে তার সমাধান করুন। পুরো সিস্টেম আপনি উল্টে দেবেন? বিধানসভায় বিল পাস করিয়ে বলে দেবেন, কিছু মানিনা? এই অধিকার ওনাকে কে দিয়েছে?’
আরও পড়ুন: DA Movement: 'বনধে সামিল হলে কর্মজীবনে ছেদ'! হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য...
বিজেপিকে আটকাতে যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে ওদের সমর্থন করব: মমতা
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘এতদিন রাহুলকে বাদ দিয়ে, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বলেছিলেন বিজেপিকে হারিয়ে দেবেন। কি এমন ঘটে গেল হঠাৎ যে কংগ্রেসের কথা মনে পড়ল? নিজের দমে কি কুলাচ্ছে না? পার্টি যত দুর্বল হচ্ছে, তত ওনার স্টেটমেন্ট চেঞ্জ হচ্ছে। অন্যের সাহায্যের দরকার হচ্ছে। তবে এরপর ওনার সঙ্গে আর কেউ আসবে না’।
রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকেই রাজ্যে মিড ডে মিলে কারচুপির রিপোর্ট: ব্রাত্য
দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ব্রাত্য বসু জানেন না, স্কুলগুলি কিভাবে চলছে। কজন শিক্ষক, কজন পড়ুয়া, ওনার কিছুই জানা নেই। উনি গ্রামের লোককে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে ভালো হয়। মিড ডে মিল কিভাবে চলে? কেন মিড ডে মিলে সাপ বা টিকটিকি পাওয়া যায়? উনি খোঁজ নিয়েছেন কোনও দিন? দিদিকে খুশি করার জন্য এসব কথা বলছেন। সমাজের লোকেরা মেনে নেবে? গরীব ঘরের অভিভাবকরা যারা সরকারি স্কুলে বাচ্চাদের পাঠায়, তারা মেনে নেবে? তার দায় তো ওনাকেই নিতে হবে’।