সব্যসাচীর গণেশ পুজোয় আরতি করলেন, পুষ্পাঞ্জলি দিলেন দিলীপ, চাইলেন 'মুক্তির আশীর্বাদ'!

" গণপতিকে কোর্টে যেতে হচ্ছে। রামচন্দ্র কয়েকশো বছর কোর্টে ছিলেন। এখন বাড়ি ফেরত পেয়েছেন। গনেশকেও লড়াই করে নিজের পুজো নিতে হচ্ছে।"

Edited By: সুদেষ্ণা পাল | Updated By: Aug 23, 2020, 01:18 PM IST
সব্যসাচীর গণেশ পুজোয় আরতি করলেন, পুষ্পাঞ্জলি দিলেন দিলীপ, চাইলেন 'মুক্তির আশীর্বাদ'!
ফাইল ফোটো

নিজস্ব প্রতিবেদন : "সিদ্ধিদাতা গণেশের কাছে প্রার্থনা করলাম, হতাশা কাটিয়ে মানুষ যেন নতুন উদ্যমে কাজ করতে পারে। নতুন করে বাংলাকে তৈরি করতে পারি। মানবতাকে বাঁচাতে পারি। সেই আশীর্বাদ দিন।" আজ সল্টলেকের সব্যসাচী দত্তের মৈত্রী সংঘের গনেশ পুজোয় উপস্থিত হয়ে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। গণেশ পুজোর আরতি করেন তিনি। লাড্ডু প্রসাদও নেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সব্যসাচী দত্ত সহ অন্যান্য বিজেপি কর্মীরা।

পুজো দিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমার মনে হয় গণপতি পুজোর পর থেকেই বাংলা কেন সারা দেশের পরিবর্তন হবে। যে যেমন কাজ করবে সে তেমন সিদ্ধি পাবে। আমরা তো কেস আর জেল ছাড়া কিছু পাই না। আমার ঠাকুরের কাছে প্রার্থনা একটা পরিবর্তন কমপক্ষে করে দিন। যাতে বাংলার মানুষ যে ত্রাহি ত্রাহি রব করছে, তার থেকে যেন মুক্তি পায়।" করোনার জন্য স্বাভাবিক কারণেই এবার পুজো ছোট করে হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে তারপরেও পুজো আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, "যেভাবে এই পুজো আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। এখানে সব নিয়মবিধি মেনে পুজো হচ্ছে। পুজোপাট ভারতবর্ষে হবে না তো কোথায় হবে? সেটাকে রাজনীতির মধ্যে টেনে নিয়ে আসাটা ঠিক নয়। গণপতিকে কোর্টে যেতে হচ্ছে। রামচন্দ্র কয়েকশো বছর কোর্টে ছিলেন। এখন বাড়ি ফেরত পেয়েছেন। গনেশকেও লড়াই করে নিজের পুজো নিতে হচ্ছে। দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা ভক্ত আমরা কী করতে পারি! আমরা পুজো করতে পারি। আজ পুষ্পাঞ্জলি দিলাম আরতি করলাম। লাড্ডু প্রসাদ পেয়েছি।" 

পাশাপাশি এদিন একইসঙ্গে শাসকদল তৃনমূলের ৪ লাখ যুবককে যোগদান করানোর কর্মসূচিকেও কটাক্ষ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তোপ দাগেন, "আমাদের বাংলার যুবকরা এখন রাজনীতি বিমুখ হচ্ছে এই কারণে যে কোনও আদর্শ নেই, নীতি নেই। শুধু একটাই আছে কাটমানি ও সিন্ডিকেটরাজ। চাকরি না দিয়ে সেটাই দেওয়া হচ্ছে। যার ফলে আমাদের বাংলায় যেমন দুর্নীতি চরম পর্যায়ে, তেমন হতাশাও। ব্যাপক চাকরি পেতে গেলে এখন পশ্চিম ভারতে যেতে হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে চাকরির তো কোনও আশা নেই! আপনাকে তাহলে বেআইনিভাবে কাজ করতে হবে।এটা আমাদের সামাজিক পতন, রাজনৈতিক পতন। স্বাভাবিকভাবে বাংলার ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। এই হতাশা কাটিয়ে নতুন বাংলা তৈরি করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনৈতিক লড়াই লড়ছি আমরা।"

আরও পড়ুন, একুশের লক্ষ্যে বিজেপিকে ধরাশায়ী করতে আজ তৃণমূলে যোগ প্রায় ৪ লক্ষ যুবকের!

.