২ বছর পর ঘর খুঁজে পেল মানসিক ভারসাম্যহীন, বেহালা থেকে ফিরলেন অসমে
ঘর খুঁজে পেল মুসলিমউদ্দিন। টানা দু বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন মুসলিমউদ্দিনকে নিয়ে গেল তার পরিজনেরা। এতদিন মুসলিমউদ্দিনকে আগলে রেখেছিলেন বেহালার বটতলার বাসিন্দারা। মুসলিমউদ্দিন তার পরিজনদের ফিরে পেয়েছে। এতেই আনন্দে ভাসছেন বটতলার বাসিন্দারা। অন্যদিকে মুসলিমউদ্দিনকে ছেড়ে থাকার বেদনায় মন ভার।
ওয়েব ডেস্ক: ঘর খুঁজে পেল মুসলিমউদ্দিন। টানা দু বছর পর মানসিক ভারসাম্যহীন মুসলিমউদ্দিনকে নিয়ে গেল তার পরিজনেরা। এতদিন মুসলিমউদ্দিনকে আগলে রেখেছিলেন বেহালার বটতলার বাসিন্দারা। মুসলিমউদ্দিন তার পরিজনদের ফিরে পেয়েছে। এতেই আনন্দে ভাসছেন বটতলার বাসিন্দারা। অন্যদিকে মুসলিমউদ্দিনকে ছেড়ে থাকার বেদনায় মন ভার।
বড়, বড় চুল দাড়ি। ছেঁড়া জামাকাপড়। বেহালার বেচারাম চ্যাটার্জি রোডের বটতলায় বছরখানেক আগে এক বাড়ির বারান্দায় পড়েছিল মুসলিমউদ্দিন। কীভাবে এল সে? জবাব দিতে পারেনি। কারা তাঁকে ফেলে গেল? বলতে পারেনি তাও। কিন্তু তাতে কী! মুসলিমউদ্দিনের নিরাপদ আশ্রয় চাই। পরম মানবিকতায় এটুকু বুঝতে অসুবিধে হয়নি বটতলার বাসিন্দাদের। তাঁকে দূরে ঠেলে না দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। সন্তান স্নেহে কাছে টেনে নেন,মলয় দাশগুপ্ত ও বুলা দাশগুপ্ত।
কিন্তু কী করে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া যায় মুসলিমউদ্দিনকে?এই প্রশ্নটাই ভাবাচ্ছিল বটতলার বাসিন্দাদের। শুরু হয় খোঁজ। দীর্ঘদিনের চেষ্টায় বরপেটার নাম বলতে পারে মুসলিমউদ্দিন। অসমের আলুপটিচর থানায় বরবেটায় মুসলিমউদ্দিনের শিকড়। খবর যায়। অসম থেকেই এসে মুসলিমউদ্দিনকে রবিবার ফিরিয়ে নিয়ে যান তাঁর পরিজনেরা।
নিজের ঘর- আপনজন ফিরে পেল মুসলিমউদ্দিন। ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি বটতলার মানুষও। তবু মন যেন একটু ভারাক্রান্ত। এতদিন মুসলিমউদ্দিন যে জড়িয়ে ছিল তাদের প্রাণের মাঝে।