তন্ময় প্রামাণিক: হাসপাতালে সন্তান-সহ করোনা রোগী "নিখোঁজ"। সোমবার এই ঘটনায় কার্যত তোলপাড় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। ঘণ্টাখানেক চলল পুলিসের ছোটাছুটি। হাসপাতাল চত্বরের কোথাও মিলল না সন্তান ও তার মা। ততক্ষণে সন্তান কোলে বাড়ি পৌঁছে গিয়েছেন আক্রান্ত মা। খবর পেতেই বাড়ি থেকে ফের ধরে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই মা এবং সন্তানকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমিত ৩,০৮০; মৃত্যু ৪৫ জনের


মেডিক্যাল কলেজ সূত্রের খবর, এ দিন বিকেলে হঠাৎই কলকাতা মেডিক্যালের কলেজের ইডেন বিল্ডিংয়ের বেডে করোনা আক্রান্ত এক শিশু এবং তার মাকে খুঁজে পাচ্ছিলেন না চিকিৎসকেরা। তা নিয় শুরু হয় হুলুস্থুল। হাসপাতালের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয় বউবাজার থানায়। ঠিকানা ধরে পুলিস প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ওই প্রসূতির বাড়িতে গিয়ে দেখেন সন্তান নিয়ে বাড়িতেই বসে আছেন মা। ফের সেখান থেকে পুলিস তাঁকে নিয়ে আসে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। 


দিন দশেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে সদ্যোজাত সন্তান ও মা দুজনেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার ১০ দিন পর যদি কোনরকম অসুস্থতা বা উপসর্গ না থাকে, তাহলে সেই রোগীকে ছুটি দিয়ে বাড়ি ফিরিয়ে দেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে সদ্যোজাতের কোন উপসর্গ ছিল না। জ্বর আসেনি। তাই ১০ দিন হয়ে যাওয়ায় তাকে সোমবার ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়। 


আরও পড়ুন: কলকাতায় কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, জেনে নিন আপনার এলাকার পরিস্থিতি


কিন্তু মায়ের ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। সন্তানের ছুটি হওয়ার পর সেই কাগজ হাতে নিয়ে ওই মা সন্তানকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে সটান বেরিয়ে যান। চিকিৎসকরা মায়ের চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখেন, বেডে রোগী নেই। তারপরই কর্তৃপক্ষকে জানান। কর্তৃপক্ষ গোটা হাসপাতলে খুঁজে না পেয়ে বিষয়টি পুলিসকে জানায় এরপর রাত আটটা নাগাদ ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়েছে ওই মা এবং সদ্যোজাতকে।


এ প্রসঙ্গে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সুপার ইন্দ্রনীল বিশ্বাস বলেন , "সোমবার শুধুমাত্র সদ্যোজাতের ছুটি মঞ্জুর করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। মা বুঝতে না পেরে নিজেও বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু আইনত যেহেতু তার করণা মুক্তির ঘোষণা বা ছুটি হয়নি, তাই আমাদের দায়িত্ব তাকে হাসপাতালে এনে সমস্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তবেই ছুটি দেওয়া। যেহেতু তিনি ছুটি পাননি তাই সন্তানসহ তাকে ফের হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।"