ডিজিটাল টিভি পরিষেবা বাধ্যতামূলক হচ্ছে পয়লা জুলাই থেকে। তার বহুবছর আগে থেকেই ঘরে ঘরে সরাসরি পরিষেবা পৌঁছে দেবার কাজ শুরু করেছিল ডিশ টিভি। নয়া ব্যবস্থা চালু হলে তাদের আকর্ষণীয় অফারে লক্ষ লক্ষ গ্রাহক ডিশ টিভির প্রতি আকৃষ্ট হবেন বলে সংস্থার দাবি।
২০১১ সালের ২৮শে নভেম্বর লোকসভায় পাশ হয় কেবল টিভি সংশোধনী আইন। গোটা দেশে কেবল টিভি পরিষেবাকে ২০১৪ সালের ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড করে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই আইনে। দেশে এই মুহুর্তে কেবল সংযোগ রয়েছে এরকম টেলিভিশন গ্রাহকের সংখ্যা ৮ কোটি ৬০ লক্ষ। ১৯৮৬ সালে প্রধানমন্ত্রী নরসিংমা রাওয়ের আমল থেকেই অবশ্য টিভি দেখার প্রক্রিয়া ডিজিটাইজড করার লক্ষ্যে একধাপ এগিয়ে যায় ডিশ টিভি। ২০০৩ থেকে শুরু হয় কাজ। ডিরেক্ট টু হোম বা ডিটিএইচ পরিষেবা বাধ্যতামূলক না-হলেও তাকে জনপ্রিয় করে তোলার চেষ্টা শুরু হয় এ দেশে। দেশের ৪লক্ষ বাড়িতে ইতিমধ্যেই পরিষেবা পৌঁছে দিয়েছে ডিশ টিভি। আর ট্রাইয়ের নয়া নির্দেশে সেই প্রক্রিয়ায় জোয়ার আসে। ২০১৪ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের মোট কেবল টিভি গ্রাহকদের মধ্যে অন্তত ৩৫ শতাংশের কাছে ডিটিএইচ পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে ডিশ টিভি। বললেন সংস্থার সিইও আর সি ভেঙ্কটেশ।
১) ডিশ টিভির মতো সর্বাধুনিক ডিটিএইচ পরিষেবায় কিছু অসাধারণ সুবিধা পাচ্ছেন গ্রাহক...
২) জি নেটওয়ার্ক সহ সমস্ত বড় ব্রডকাস্টারের প্রায় সব জনপ্রিয় চ্যানেল
৩) আকর্ষণীয় প্যাকেজ রেট
৪) কম্বো প্যাকেজ অফার
৫) বিশেষ কিছু চ্যানেল একসঙ্গে সাবস্ক্রাইব করার সুবিধা। যেমন বিনোদন, খেলা, খবরে সরাসরি চলে যাবার সুযোগ
৬) কোনও অনুষ্ঠান তখন দেখার সময় না থাকলে তা রেকর্ড করে রেখে পরে দেখার সুযোগ
৭) লাইভ অনুষ্ঠান বা খেলা দেখার সময় অন্য কাজ এসে গেলে অনুষ্ঠান ফ্রিজ করে পরে সেখান থেকেই বাকিটা দেখার সুযোগ
নয়া প্রযুক্তিকে সাদরে আমন্ত্রণ জানিয়েছে শহর কলকাতা। প্রযুক্তিগত বিষয়গুলি বোঝার ক্ষেত্রে কিছু অসুবিধা থাকলেও মোটের ওপর টিভি দেখার সংজ্ঞাটা যে বদলে যাচ্ছেই, সেটা বুঝতে শুরু করেছেন শহরবাসী।
ঝকঝকে ছবি, সঙ্গে আকর্ষনীয় প্যাকেজ, ডিশ টিভিই সেরা