নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশের ভোটের (Assembly Election 2021) প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে দু'দফায় বাংলায় ঘুরে গিয়েছেন উপ নির্বাচন কমিশনার (Deputy Election Commissioner) সুদীপ জৈন। ফুলবেঞ্চ আসার আগে এবার নয়া নির্দেশিকা জারি করল নির্বাচন কমিশন। প্রতি শুক্রবার আইশৃঙ্খলা নিয়ে রিপোট দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল জেলাশাসক ও পুলিস সুপারদের। বুধবার রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, জেলাশাসক (DM) ও পুলিস সুপারদের (SP) সঙ্গে বৈঠক বসবে কমিশনের ফুলবেঞ্চ। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ডিসেম্বরের পর জানুয়ারি। নির্বাচনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ফের বাংলায় এসেছিলেন উপনির্বাচন কমিশনার (Deputy Election Commission) সুদীপ জৈন। রাতে কলকাতার পৌঁছনোর পর, বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই জেলাশাসক (DM), পুলিস সুপার (SP) ও পুলিস কমিশনারদের (CP) সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে কলকাতা ও ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনারকে প্রশ্নবানে কার্যত জেরবার হতে হয়। সূত্রের খবর তেমনই।


আরও পড়ুন: দলের দরজায় এবার ছাঁকনি বসাতে চলেছে BJP, বললেন Dilip


জানা গিয়েছে, উপ নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকে গত ৬ মাসে এলাকায় রাজনৈতিক গন্ডগোল, অস্ত্র ও বোমা উদ্ধার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যও পেশ করেন পুলিস কমিশনাররা। কিন্ত তাতেও রেহাই মেলেনি। উল্টে জানতে চাওয়া হয়, ২০১৯-র লোকসভা ভোটে ও ২০১৬-র বিধানসভা ভোটের আগে পরিস্থিতি কেমন ছিল? ব্যারাকপুর, রানাঘাট, বারাসাত এবং কোচবিহারের পুলিস সুপারের রিপোর্টেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন উপ নির্বাচন কমিশনার। পরবর্তী বৈঠকে লোকসভা ভোটে ও বিধানসভা ভোটের আগের পরিস্থিত সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য পেশ করার নির্দেশ দেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে এবার প্রতি শুক্রবার রাজ্যের জেলাশাসক (DM) ও পুলিস সুপারদের (SP) রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দিল কমিশন। আর কেন্দ্রীয় বাহিনী? সূত্রের খবর, রাজ্যের সঙ্গে মৌ স্বাক্ষর করতে চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু নবান্ন থেকে ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। তাই এবারের ভোটেও বাংলার কোথায় কোথায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তা ঠিক করার ক্ষমতা থাকছে রাজ্য সরকারের হাতেই।


আরও পড়ুন: Rajib দল ছাড়ার কথা বলেনি: Sougata; তৃণমূলে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, দরজা খোলা: Dilip


কমিশনের তৎপরতা যে তুঙ্গে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু বাংলায় বিধানসভা ভোট কবে হবে? নির্ধারিত সময়ে নয়, বরং এবার ভোট এগিয়ে আসার সম্ভাবনাই বেশি। খোদ উপনির্বাচন কমিশনার তেমনই ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছে বলে খবর। শুক্রবার সংশোধিত ভোটার তালিকাও প্রকাশিত হয়েছে। বাংলায় ভোটার বেড়েছে ২০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৯৩।  চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়েছে প্রায় ৬ লক্ষ নাম।