দলের দরজায় এবার ছাঁকনি বসাতে চলেছে BJP, বললেন Dilip
'দরজা খোলা আছে, কিন্তু বেশিদিন থাকবে না।'
নিজস্ব প্রতিবেদন: 'এখন ব্যাপক যোগদান চলছে। কিন্তু সবাইকে নিচ্ছি না, নেবও না।' দিল্লি থেকে ফিরে বললেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাঁর সাফ কথা,'রাজ্যের স্বার্থে কেউ যদি বিজেপির ঝান্ডা ধরতে চায়, তাহলে তো না করতে পারি না। তবে আমাদের কাজের উপযোগী, সমাজের কাছে ঠিকঠাক আছে, এমনই লোককে নেওয়ার চেষ্টা করব। দরজা খোলা আছে, কিন্তু বেশিদিন থাকবে না।'
ভোটের মুখে 'বেসুরো'দের বাড়বাড়ন্তে জেরবার তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। দলের টিকিটে জেতা মন্ত্রী-বিধায়কদের ভিড় বাড়ছে গেরুয়াশিবিরে (BJP)। কিন্তু দলে আসতে চাইলেই কি লাগামছাড়াভাবে তৃণমূল নেতাদের স্বাগত জানানো হবে? প্রশ্ন তুলেছিলেন বঙ্গ বিজেপির (BJP) একাংশ। এমনকী, ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত দলের প্রথমসারিতে যাঁরা ছিলেন, সেই সায়ন্তন বসু (Sayantan Basu) বা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Raju Banerjee) মতো নেতারা এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেও শুরু করেছিলেন। খোদ অমিত শাহের (Amit Shah) অফিস থেকে বার্তা আসার পরে যখন পরিস্থিতি বদলাল না, তখন বাধ্য হয়েই 'শোকজে'র রাস্তা নেয় বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। শোকজের মুখে পড়েন সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পল-সহ পাঁচ নেতা।
আরও পড়ুন: ঢপের চপ স্বাস্থ্যসাথী-পথশ্রী, ভারতের সবচেয়ে সুবিধাবাদী দল TMC : Suvendu
এই পরিস্থিতিতে গতকাল দিল্লিতে অমিত শাহের বাড়িতে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh), মুকুল রায় (Mukul Roy), কৈলাস বিজয়বর্গীদের (Kailash Vijayvargiya) সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। সেই বৈঠকেও কাদের দলের নেওয়া হবে,তা নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় উঠে আসে, অন্য দল থেকে অনেক দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাও যোগ দিয়েছেন বা যোগ দিতে চাইছে। তাতে দলে সাংগঠনিক শক্তি বাড়লেও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, জেতার সম্ভাবনার নিরিখে শুধুমাত্র যোগ্য নেতাদেরই বিধানসভা ভোটের টিকিট দেওয়া হবে। সূত্রের খবর তেমনই।
আরও পড়ুন: Rajib দল ছাড়ার কথা বলেনি: Sougata; তৃণমূলে চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই, দরজা খোলা: Dilip
শুক্রবার গভীর রাতে দিল্লি থেকে ফেরেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এরপর এদিন বিজেপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি। সেখানেই স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন, দলের দরজায় এবার ছাঁকনি বসতে চলেছে। চাইলেই আর বিজেপিতে যোগ দেওয়া হবে না। যিনি আসতে চাইছেন, তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আগে খতিয়ে দেখা হবে।