আজ মহাষষ্ঠী, বোধনের সঙ্গে সঙ্গে শারদীয়া সুরে মাতোয়ারা ৮ থেকে ৮০
আজ মহাষষ্ঠী। বাপের বাড়িতে উমা মর্তে প্রথম পা রাখলেন। চলছে মাকে বোধনের নানা আচার অনুষ্ঠান। বোধনের পর অধিবাস। আগমনীর সুরে উত্সবের সূচনা। সেই সূচনা লগ্নে গা ভাসিয়েছে ৮ থেকে ৮০-র বাঙালি। মহাষষ্ঠী মানে সপরিবারে উমার পিতৃগৃহে আগমনের দিন।
কলকাতা: আজ মহাষষ্ঠী। বাপের বাড়িতে উমা মর্তে প্রথম পা রাখলেন। চলছে মাকে বোধনের নানা আচার অনুষ্ঠান। বোধনের পর অধিবাস। আগমনীর সুরে উত্সবের সূচনা। সেই সূচনা লগ্নে গা ভাসিয়েছে ৮ থেকে ৮০-র বাঙালি। মহাষষ্ঠী মানে সপরিবারে উমার পিতৃগৃহে আগমনের দিন।
বিল্ববৃক্ষের তলায় দেবীর আরাধনা। গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী, সরস্বতী। সপরিবারে একরাত সেখানেই থাকবেন মা দুর্গা। সপ্তমীর সকালে পা দেবেন বাপের বাড়িতে। রীতিমত শুচিশুদ্ধ হয়ে।
সকাল থেকে আকাশ থেকে উঁকি মারছে সূর্য। বাঙালি তাই দারুণ খুশি।
পঞ্চমির সন্ধে থেকেই ছিল ঠাকুর দেখার ভিড়৷ শহরজুড়ে মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষের ভিড়৷ বাগবাজার সার্বজনীন, কলেজ স্কোয়ার, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, সুরুচি সংঘ একডালিয়া, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, সিংহী পার্ক শহর কলকাতার সব নামকরা পুজো মণ্ডপে মানুষের ঢল চোখে পড়ে৷ সন্ধে থেকেই কোথাও কোথাও বৃষ্টির চোখরাঙানিকে তোয়াক্কা না করেই বেরিয়ে পড়েন অনেকে৷ এবার দুর্গা দেবীর নৌকায় আগমন করেছেন।
‘আদ্যাশক্তি মহামায় দুর্গা দেবীর মূল পূজা হলো বসন্তকালে। তাই তাকে বাসন্তিপূজা বলা হয়। যা সাধারণত চৈত্রের তিথিতে হয়ে থাকে। এই পূজা করেছিলেন লঙ্কার রাজা রাবন। রাবন দুর্গা দেবীকে পূজার মধ্যদিয়ে খুশি করে অমরত্ব লাভ করেছিলেন। তাই কোনোভাবেই রাম চন্দ্র রাবনকে বধ করতে পারছিলেন না। কারণ দুর্গা দেবী হলো সকল শক্তির উৎস। ব্রহ্মা, বিষ্ণু শিবের তেজ থেকে মা দুর্গার জন্ম। তাই তিনি হলেন শক্তির আধার।’ রাবনকে বধ করতেই মূলত শ্রীরামচন্দ্র শরতে অকালে আহ্বান করে দুর্গা দেবীকে মর্তে নিয়ে আসেন। তাই শরতের এই শারদীয় দুর্গা উৎসবকে অকাল বোধন বলা হয়।