চাকা গড়ানোর আগেই, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রা ঘিরে একরাশ অনিশ্চয়তা!
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রা শুরুতেই বিঘ্ন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২ অক্টোবর থেকে প্রথম পর্যায়ের মেট্রো চালানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট পরিমাণ চালক এখনও প্রশিক্ষণ নিতেই শুরু করেননি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর যাত্রা শুরুতেই বিঘ্ন। নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী ২ অক্টোবর থেকে প্রথম পর্যায়ের মেট্রো চালানো নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। কারণ ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় যথেষ্ট পরিমাণ চালক এখনও প্রশিক্ষণ নিতেই শুরু করেননি।
গান্ধীজয়ন্তী থেকে চালু হয়ে যাবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম পর্যায়। এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু, ১ জুন যা পরিস্থিতি, তাতে ২ অক্টোবর থেকে মেট্রো চালানো খুব কঠিন। বলতে গেলে কার্যত অসম্ভব। কারণ চালকের অভাব।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম পর্যায়ে করুণাময়ী থেকে সল্টলেক স্টেডিয়াম পর্যন্ত চালানো হবে রেক। দিনে ৪ থেকে ৫টি মেট্রো চালানো হবে। এরজন্য ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ১৫ থেকে ২০ জন চালক প্রয়োজন। এখন কলকাতা মেট্রো থেকেই চালকরা ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতে যোগ দেবেন। কিন্তু কলকাতা মেট্রো থেকে এখনও পর্যন্ত মাত্র ৫ জন চালক ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় যোগ দিয়েছেন।
এদিকে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর রেক তৈরি হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে। এই অত্যাধুনিক রেক চালাতে চালকদের কমপক্ষ ৪ মাসের প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। এই মুহূর্তে বেঙ্গালুরুতে নিয়মিত প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ওই ৫ জন চালক। ৬ জুন এই প্রশিক্ষণে যোগ দেওয়ার ডেডলাইন।
আরও পড়ুন, কটা ইলিশ চাই? অর্ডার করুন সরকারি অ্যাপে, হিমঘর থেকে সোজা পৌঁছে যাবে হেঁসেলে
তারপর তড়িঘড়ি নতুন চালক নিয়োগ করলে তাঁদের প্রশিক্ষণের সময় কমে যাবে। চালকদের পুরো প্রশিক্ষণ না দিয়েই ট্রেন চালাতে দিলে যাত্রী সুরক্ষার সঙ্গে আপোস করা হয়ে যাবে। ফলে সবমিলিয়ে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রথম চাকা গড়ানোর আগেই একরাশ প্রশ্ন।