ভোট চলাকালীন কমিশনে অভিযোগের পাহাড়, তবে ২০১৪-এর তুলনায় কম

ভোট চলাকালীন কমিশনে অভিযোগের পাহাড়। তবে দুহাজর চোদ্দর তুলনায় অনেকটাই কম। সৌজন্যে কমিশনের কড়া মনোভাব এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্পরতা। অভিযোগের নিরিখে সবাইকে ছাড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। অভিযোগের হাফসেঞ্চুরি কেষ্ট মণ্ডলের। চড়াম চড়াম ঢাক বা গুড়-বাতাসা। বীরভূমের ভোটে এটাই ছিল হাইলাইটস। আর সবার নজর ছিল নানুরের দোতলা বাড়িটির দিকে। অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা। নজরবন্দি করেও অবশ্য তাঁকে আটকানো যায়নি। দিনভর চরকি পাক খাইয়েছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে।

Updated By: May 6, 2016, 10:14 PM IST
ভোট চলাকালীন কমিশনে অভিযোগের পাহাড়, তবে ২০১৪-এর তুলনায় কম

ওয়েব ডেস্ক: ভোট চলাকালীন কমিশনে অভিযোগের পাহাড়। তবে দুহাজর চোদ্দর তুলনায় অনেকটাই কম। সৌজন্যে কমিশনের কড়া মনোভাব এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর তত্পরতা। অভিযোগের নিরিখে সবাইকে ছাড়ালেন অনুব্রত মণ্ডল। অভিযোগের হাফসেঞ্চুরি কেষ্ট মণ্ডলের। চড়াম চড়াম ঢাক বা গুড়-বাতাসা। বীরভূমের ভোটে এটাই ছিল হাইলাইটস। আর সবার নজর ছিল নানুরের দোতলা বাড়িটির দিকে। অনুব্রত মণ্ডলের ঠিকানা। নজরবন্দি করেও অবশ্য তাঁকে আটকানো যায়নি। দিনভর চরকি পাক খাইয়েছেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেটকে।

ভোট চলাকালীন কমিশনে একুশ হাজার দুশো চল্লিশটি অভিযোগ জমা পড়ে সিপিএমের তরফে। কংগ্রেসের তরফে জমা পড়ে এক হাজার আটশো চুরানব্বইটি অভিযোগ। আর বিজেপির অভিযোগ ছিল এক হাজার সাতশো তেত্রিশটি। তার মধ্যে বেশিরভাগ অভিযোগ অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধেই।  অভিযোগ পেয়ে কড়া কমিশন। নজরবন্দি করা হয় অনুব্রতকে। কিন্তু সব কিছুকে তোয়াক্কা করে বীরভূম চষে বেড়ান কেষ্ট। শেষমেশ তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআরের নির্দেশ দেয় কমিশন। কিন্তু দমেননি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। শুধু অনুব্রতই নন, এবারের ভোটে নজরকাড়া প্রার্থীরাই নজর কেড়েছেন অভিযুক্ত হয়ে। লকেট থেকে রূপা, উদয়ন থেকে রবীন্দ্রনাথ বাদ যাননি ডেপুটি স্পিকারও। কমিশনের তত্পরতায় এফআইআর হয়েছে এঁদের বিরুদ্ধেও। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও পড়েছেন শোকজের মুখে।

তবে শুধু বিরোধীরাই নয়, কমিশনে জমা পড়েছে তৃণমূলের চার হাজার সাতশো পঁচাত্তরটি অভিযোগ। কমিশনের দাবি, একশো পঞ্চাশটি অভিযোগের সমাধান করলেই তারা সব অভিযোগের সমাধান করে ফেলবে। এই ভোটে সব অভিযোগের সুরাহা হয়ত হল। কিন্তু আদৌ কি থামবে অনুব্রতর হুঙ্কার? সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

.