তনুজিৎ দাস: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে 'মা' মমতার (Mamata banerjee) সঙ্গ ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ। তবে ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকেই 'বেসুরো' তিনি। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রকাশ্যে মুখ খুলেছেন। দেখা করেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গেও। তাঁর 'ঘর ওয়াপসির' জল্পনা যখন তুঙ্গে, তখন এহেন রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কেই (Rajib Banerjee) ন্যাশনাল এগজিকিউটিভ কমিটি বা জাতীয় কর্মসমিতির আমন্ত্রিত অতিথি (Special Invitiees) করল বিজেপি (BJP)। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজীবের (Rajib Banerjee) সঙ্গে একই কর্মসমিতি কমিটির আমন্ত্রিত অতিথি (Special Invitiees) করা হয়েছে সাংসদ জয়ন্ত রায়, সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্য়ায়, বিধায়ক অশোক লাহিড়ি এবং মাফুজা খাতুনকে। এঁদের মধ্যে রাজীবের নাম অবশ্যই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের নজর কেড়েছে। এখন ডোমজুড়ে প্রাক্তন বিধায়কের রাজনৈতিক অবস্থান কী? প্রশ্ন ওয়াকিবহাল মহলে।


আরও পড়ুন: Mamata oath: রীতি ভেঙে বিধায়ক পদে মুখ্যমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ রাজ্যপালের; 'ঐতিহাসিক মুহূর্ত': ধনখড়


একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ফল ঘোষণার পর তৃণমূলের যে নেতার সঙ্গে রাজীব (Rajib Banerjee) দেখা করেন, তিনি হলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। 'বেসুরো' নেতাকেই বিজেপি (BJP) ন্য়াশনাল এগজিকিউটিভ কমিটির আমন্ত্রিত অতিথি করা প্রসঙ্গে Zee ২৪ ঘণ্টাকে কুণাল বলেন, "আমার কাছে রাজীব এখনও বিজেপিরই নেতা। তবে যে বিজেপি নেতা প্রায় প্রত্যেকদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) সমর্থন জানিয়ে ট্যুইট করছেন বা শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। তাঁকেই যদি কমিটিতে রাখতে হয়, তবে বিজেপির এর চেয়ে দেউলিয়া অবস্থা আর কী হতে পারে!" 


যদিও এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে চাননি রাজ্য বিজেপির (BJP) সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। 'বিষয়টা দিল্লির সিদ্ধান্ত' বলে এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। Zee ২৪ ঘণ্টার তরফে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে  ফোন করা হলেও (এই প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়া পর্যন্ত) কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। 


আরও পড়ুন:'মমতাদি'কে সামনে রেখেই সব পেয়েছি', ঘাসফুলে 'ঘর ওয়াপসি' Sabyasachi-র


তৃণমূল ত্যাগের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে 'মা' বলে সম্মোধন করেন রাজীব (Rajib Banerjee)। বিধানসভায় মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল নেত্রীর ছবি বুকে নিয়ে বেরিয়ে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।



মমতা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর, যখন বিজেপি নেতারা তাঁকে নিযে কটাক্ষে ব্যস্ত, তখন আত্মসমালোচনার পরামর্শ দেন রাজীব। ট্যুইটে লেখেন, ''সমালোচনা তো অনেক হল... মানুষের বিপুল জমসমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে কথায় কথায় দিল্লি, আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবে না। আমাদের সকলের উচিত রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে, কোভিড ও ইয়াস দুর্যোগে বিপর্যস্ত বাংলার মানুষের পাশে থাকা।'' 


আরও পড়ুন: #উৎসব: প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন ঘোষণা করল Kolkata Police, নির্দিষ্ট হল এই চারটি দিন


এরপর থেকে একাধিকবার তৃণমূল নেত্রীর প্রশংসা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। ভবানীপুর উপনির্বাচনের সময়ও মমতার (Mamata Banerjee) সমর্থন করে, বিজেপির সমালোচনা করেছেন তিনি। গেরুয়া শিবির প্রার্থী না দিলেই পারত বলে মন্তব্যও করেন তিনি। এমনকী নাম  না করে শুভেন্দু অধিকারীরও সমালোচনা করেন। ফলে রাজীব বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (Rajib Banerjee) তৃণমূলের ফেরার জল্পনা তুঙ্গে। এহেন বিক্ষুব্ধ নেতাকেই ন্য়াশনাল এগজিকিউটিভ কমিটির আমন্ত্রিত অতিথি করে বিজেপি পাল্টা চাল দিল বলেও মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।