লেন্স কেনার টাকা নেই, ন্যাশনাল মেডিক্যালে বন্ধ ছানি অপারেশন
ভাঁড়ারে টাকা না থাকায় লেন্স কেনা যাচ্ছে না। ফলে দুসপ্তাহ ধরে ন্যাশনাল মেডিক্যালের চক্ষু রোগ বিভাগে বন্ধ ছানি অপারেশন। প্রতিদিন বাতিল হচ্ছে একের পর এক অস্ত্রোপচার। ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।
ওয়েব ডেস্ক:ভাঁড়ারে টাকা না থাকায় লেন্স কেনা যাচ্ছে না। ফলে দুসপ্তাহ ধরে ন্যাশনাল মেডিক্যালের চক্ষু রোগ বিভাগে বন্ধ ছানি অপারেশন। প্রতিদিন বাতিল হচ্ছে একের পর এক অস্ত্রোপচার। ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।
কোনও জেলা বা গ্রামীন হাসপাতাল নয়। কলকাতার বুকে খোদ ন্যাশনাল মেডিক্যালে অর্থাভাবে বন্ধ রয়েছে চক্ষু রোগ বিভাগের ছানি অপারেশন। অস্ত্রোপচার বন্ধ থাকায় ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে রোগীদের।
ছানি অপারেশনের পর চোখে ইনট্রা অক্যুলার লেন্স বসাতে হয়। কয়েক মাস আগে, শেষ বার টেন্ডার ডেকে এই লেন্স একটি সংস্থার থেকে কিনেছিল ন্যাশনাল কর্তৃপক্ষ। সেই স্টক ফুরিয়েছে। নতুন করে টেন্ডার ডেকে আবার লেন্স কেনা দরকার। কিন্তু তহবিলে টাকা না থাকায় কেনা যাচ্ছে না ইনট্রা অক্যুলার লেন্স। তাই বন্ধ রয়েছে ছানি অপারেশন।
দেশ থেকে অন্ধত্ব দূর করতে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকল্প ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ফর কন্ট্রোল ব্লাইন্ডনেস বা NPCB। এই প্রকল্পের আওতায় দেশের প্রায় সব মেডিক্যাল কলেজের চক্ষু রোগ বিভাগকে আর্থিক অনুদান দিয়ে থাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। অন্যান্য সরকারি হাসপাতালের মত, কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যালও NPCB-র টাকাতেই লেন্স কেনা হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি স্বাস্থ্য ভবন থেকে এই কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা আসা আচমকাই বন্ধ হয়ে গেছে। তাই কেনা যাচ্ছে না লেন্স। রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল গুলিতে NPCB প্রকল্পের টাকা বন্টনের দায়িত্ব অপথালমোলজি শাখার অতিরিক্ত স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগীর। তাঁর পাল্টা যুক্তি অর্থাভাব মিটে গেছে। টাকাও পাঠানো হয়েছে ন্যাশনালে।