ফেসবুকের ভূত রহস্য সমাধান হয়নি আজও
পার্থ প্রতিম চন্দ্র
জানেন কী ফেসবুকে মোট ৩ কোটি ফেসবুক প্রোফাইল আছে যাদের মালিক মৃত। সংখ্যাটা আগামী দশ-পনেরো বছরে এমন জায়গায় দাঁড়াবে যেখানে ২০১০ সালে মোট ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা যত ছিল ২০৩০ সালে মৃত মানুষের প্রোফাইল তাকে ছাপিয়ে অনেক বেশি হয়ে যাবে।
আসুন এমন সময় জেনে নিই এমন একটা ঘটনা যা সবাইকে চমকে দিয়েছিল। মরে যাওয়ার পরও এক ব্যক্তি তার ফেসবুক প্রোফাইলে সক্রিয় ছিলেন। কমেন্ট করেন, লাইক দেন, মাঝে-মাঝে স্টেটাস আপডেটও করতেন। এমনই এক ভূতুড়ে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কথা লেখা হল -
জন লিটার-- ২০১৪ সালে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান ইংল্যান্ডের বাসিন্দা লিটার। লিটার তার বন্ধু মহলে জনপ্রিয় ছিল ফেসবুক পোস্টের জন্য। বিভিন্ন বিষয়ে মজার পোস্ট করে সবার মন জিতত লিটার। যে কোনও দুঃখের বিষয়ের মধ্যে মজার বিষয় খুঁজে তা পোস্ট করতেন ৩০ বছরের এই ব্রিটিশ যুবক। সেই লিটারের মৃত্যুর পর তাঁর ফেসবুক দু বার সক্রিয় হয়ে ওঠে। অন্তত তেমনটাই দাবি করেছেন তাঁর বন্ধুরা। একবার এক বন্ধুর পোস্টে লিটারের মৃত্যুর পর তাঁর পেজ থেকে কমেন্ট করা হয়, 'আমি এখন ভালই আছি, তোমাদের সব পোস্ট খুঁটিয়ে দেখছি।' মৃত মানুষের ফেসবুক পোস্ট থেকে সেই কমেন্ট নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। প্রথমে অনেকে ভেবে ছিলেন কেউ হয়তো লিটারের পাসওয়ার্ড জানতে পেরে এমন মজা করছেন। কিন্তু পুলিসের তদন্তের পরও প্রমাণ হয়নি সে কথা। ফেসবুকের আধুনিক যেসব ফিচার বেরিয়েছে যার মাধ্যমে মৃত্যুর পরেও আপডেট করা যায়, বা সিডুইল পোস্ট জাতীয় জিনিস এমন কিছু ছিল না লিটারের পেজে। অবাক করা কথা হল অজানা এক আইপি থেকে খোলা হয় মৃত লিটারের ফেসবুক পেজ। এরপরও একবার লিটারের পেজ থেকে পোস্ট করা হয়েছিল। লেখা হয়েছিল বন্ধুরা মৃত্যুই শেষ নয়, এরপরেও একটা দুনিয়া আছে। এখনও জানা যায়নি কে বা কারা এই পোস্ট করল। যতদিন অজানা থাকে ততই বাড়ছে বিশ্বাস। লিটার ভূত হয়ে পোস্ট করে চলেছেন।
সিদ্ধান্ত- ফেসবুক নেশা (ধুমপানের নেশাকেও হার মানিয়েছে) এত বাড়ছে যে ভূতে হয়েও এই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না সেটাই স্বাভাবিক। মানুষ মরে গেলে ভূত হয়, এই যুক্তি যদি মানেন, তাহলে এটা মানতে ক্ষতি কী যে ভূত হয়ে ফেসবুকের ব্যবহার করা চলছে। আর আমাদের ফেসবুক ফ্রেন্ডসে রয়েছে এক ডজন ভূত, পেত্নি আর তেনারা....