নিজস্ব প্রতিবেদন : বাজারে অনেক দেনা। দেনার দায়ে অনেক আগেই ডুবে গিয়েছিল সংসার। এবার ঘটল মর্মান্তিক পরিণতি। নিজে হাতে ছেলের গলার নলি কেটে খুন করলেন বাবা। তারপর নিজেও আত্মহত্যা করেন তিনি। ঘটনাটি ঘটেছে গড়িয়ার নবশ্রী বাজার শিবমন্দির এলাকায়। এই ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, 'কুয়োর ভিতর ইট-বালি-সিমেন্ট দিয়ে চাপা দিয়েছি স্ত্রীর দেহ!'


গড়িয়ার নবশ্রী বাজার শিবমন্দির এলাকার বাসিন্দা ছিলেন সুব্রত দাস। ব্ল্যাকে গ্যাস বিক্রি করতেন সুব্রত। সংসারে নিত্য অভাব লেগেই ছিল। দাম্পত্য অশান্তির জেরে ৪ বছর আগে সংসার ছেড়ে চলে যান সুব্রত দাসের স্ত্রী। তারপর থেকে ছেলে গোপাল দাসকে নিয়ে একাই থাকতেন সুব্রত। বরদাপ্রসাদ স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পাঠরত ছিল গোপাল।


আরও পড়ুন, বৌদির সঙ্গে দেওরের সম্পর্ক, ফাঁস হতেই মর্মান্তিক পরিণতি


প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, আর্থিক টানাপোড়েনে স্বামী-স্ত্রীতে ঝগড়া লেগে থাকত। স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে পরিস্থিতি আরও সঙ্গীন হয়ে ওঠে। এদিন সকালে বাড়ির দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না মেলায় পুলিসে খবর দেওয়া হয়। তারপরই ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় গলার নলি কাটা অবস্থায় ক্লাস সিক্সের গোপাল দাসের দেহ। গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হয় বাবা সুব্রত দাসের ঝুলন্ত দেহ।


আরও পড়ুন, অনুব্রতর 'পাচন বাড়ি'র জবাব 'ডাঙেই দেবে' বিজেপি কর্মীরা!


ঘরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তমাখা ছুরি। অভিযোগ, ওই ছুরি দিয়েই ছেলে গোপালের গলার নলি কেটে দেন সুব্রত। তারপর নিজেও গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘর থেকে মিলেছে সুইসাইড নোট। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিসের অনুমান, দেনার দায়েই ছেলেকে খুন করে নিজেও আত্মহত্যা করেন সুব্রত।  ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।