`NRS থেকে গোপনে পাচার হচ্ছে করোনায় মৃতদের দেহ!` ভুয়ো ভিডিয়ো ঘিরে তোলপাড় হতেই লালবাজারে FIR
ওই ১১টি দেহ বেওয়ারিশ লাশ। যাঁদের নাম, ঠিকানা পাওয়া যায়নি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'NRS থেকে গোপনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দেহ পাচার করা হচ্ছে। ১১টি দেহ পাচার করা হয়েছে।' এমনই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। আর ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যভবন ও NRS কর্তৃপক্ষ। শেষে অভ্যন্তরীণ তদন্তের পর NRS অধ্যক্ষ সাফ জানালেন, ভিডিয়োটি ভুয়ো। ওই ফেক ভিডিয়োর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে লালবাজারে চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দায়ের করা হয়েছে এফআইআর।
পরপর ১১টি পচাগলা দেহ মর্গ থেকে বের করে একটি কালো গাড়িতে তোলা হচ্ছে। এমনই একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। ভিডিয়োতে দেখা যাওয়া ওই মর্গ NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে থাকা ওই ভিডিয়োটিতে বলা হয়েছে, নোভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েই এই ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর তারপরই গোপনে দেহ পাচার করছে NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নজরে আসতেই নড়েচড়ে বসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায়, হাসপাতাল সুপার, আধিকারিকরা মর্গ পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখেন ভিডিয়োটি। পাশাপাশি খতিয়ে দেখেন মর্গের কাগজপত্রও। তারপরই তাঁরা জানান যে, ভিডিয়োটি সম্পূর্ণরূপে ভুয়ো। ওই ১১টি দেহ বেওয়ারিশ লাশ। যাঁদের নাম, ঠিকানা পাওয়া যায়নি। পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। নিয়ম অনুযায়ী এরকম ক্ষেত্রে সেগুলি পরে কলকাতা পুরসভার হাতে তুলে দেওয়া হয় শেষকৃত্যের জন্য। এক্ষেত্রেও তেমনই করা হয়েছে।
এরপরই কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায় লালবাজার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠি বৃহস্পতিবারই পাঠানো হয়েছে লালবাজারে। সেখানে বলা হয়েছে, একটি ফেক ভিডিয়ো NRS মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সম্পর্কে অসত্য তথ্য পরিবেশন করছে। ওই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে। সেখানে বলা হচ্ছে, গোপনে ১১টি মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিসের সাইবার সেল।
আরও পড়ুন, করোনা পরিস্থিতিতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে পুজো দেওয়ার নয়া নিয়মকানুন জেনে নিন