বাগরি মার্কেটের মালিককে গ্রেফতারির নির্দেশ ফিরহাদ হাকিমের

রাতভর আগুনের সঙ্গে যুঝেছেন দমকলকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার।

Updated By: Sep 17, 2018, 03:06 PM IST
বাগরি মার্কেটের মালিককে গ্রেফতারির নির্দেশ ফিরহাদ হাকিমের

নিজস্ব প্রতিবেদন:   বাগরি মার্কেটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়ে ব্যবসায়ীদের ক্ষোভের মুখে পড়লেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।  মালিককে অবিলম্বে  গ্রেফতারের দাবিতে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। মন্ত্রীকে সামনে পেয়ে মালিকের বিরুদ্ধে নানাবিধ অভাব অভিযোগ জানান তাঁরা। মালিককে গ্রেফতারের আশ্বাস দেন ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানিয়েছেন, এফআইআর দায়ের হলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  ওসিকে বাগরি মার্কেটের মালিককে গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।

আরও পড়ুন:  জামাইয়ের নয়, মেয়ের গর্ভে অন্য কারোর ঔরসের সন্তান চেয়েছিল গৃহবধূর বাপেরবাড়ি, তারকেশ্বরে দম্পতির সঙ্গে সঙ্গে যা ঘটল, ভাবাচ্ছে রাজ্যকে

সোমবার দুপুরে বাগরি মার্কেটের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁকে সামনে পেয়েই কেউ কান্নায়, কেউ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। বাগরি মার্কেটের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তখনই মন্ত্রী ওসিকে নির্দেশ দেন বাগরি মার্কেটের মালিককে গ্রেফতার করার।

 

সোমবার সকালেও বাগরি বাজারের পাঁচ তলায় নতুন করে আগুন লাগে।   দমকল থাকলেও জলের উত্‍স না থাকায় আগুন নেভানোর উপায় খুঁজে পেতে সমস্যা হয় দমকলের। পুরো দমে কাজ করছেন দমকল কর্মীরা।  দফায় দফায়  নতুন করে আগুন লেগেছে চারতলায়। বহুতলের আনাচে কানাচে ধিকিধিকি  ফায়ার পকেটস।  জলের সোর্স কম। তাই বাড়ছে ক্ষোভ। কেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে  কেন সেনা ডাকা হল না, তা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন:  পাত্রী দেখতে গিয়ে তাঁর বাড়িতে বারাকপুরের পাত্র যা ঘটালেন, তা এই রাজ্যে কেন দেশে কোথাও আগে ঘটেনি!

রাতভর আগুনের সঙ্গে যুঝেছেন দমকলকর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন দমকল মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার। ঘটনাস্থলে থেকে আগুন নেভানোর কাজ তদারকি করেছেন মন্ত্রী ও পুলিসকর্তা। ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিস্থিতির আবডেট নিয়েছেন। দমকল কর্মীদের মনোবল বাড়াতে উত্‍সাহও যুগিয়ে গিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কেন সেনা ডাকা হল না? বাগরির আগুনে বাড়ছে ক্ষোভ

পুড়ে খাঁক হয়ে যাওয়া স্তূপের মধ্যে থেকেই অবশিষ্ট অংশ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়েও মাল বের করে চলেছেন তাঁরা।

 

.