নিজস্ব প্রতিবেদন: নিউটাউনে একেবারে ফ্লিল্মি কায়দায় পাঞ্জাবের দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে খতম করল রাজ্য পুলিসের STF। ঠিক কি ঘটেছিল? এনকাউন্টারের নাম করে গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়নি তো? আজ ফের ঘটনাস্থলে যেতে পারেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। নিহত দুই দুষ্কৃতীর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্র, গুলি। পরীক্ষা করে দেখাতে হতে পারে সেগুলিও। সূত্রের খবর তেমনই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

একজনের মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা, আর একজনের ৫ লক্ষ।  পঞ্জাবের দুই পুলিস কর্মীকে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র কারবারে সঙ্গে জড়িত ছিল জয়পাল ভুল্লার ও জসসি খারার। নিউটাউনের একটি অভিজাত আবাসনে গা-ঢাকা দিয়েছিল দু'জনেই। পাঞ্জাব পুলিসের দেওয়া তথ্য ভিত্তিতে দিনেদুপুরে নিঁখুত অপারেশন চালাল রাজ্যে পুলিসের এটিএফ। মিনিট ১৫ গুলির লড়াইয়ে খতম দুই কুখ্যাত দুষ্কৃতী। আহত হলেন অপারেশনের লিডে থাকা অফিসার কার্তিকমোহন ঘোষ।


আরও পড়ুন: গ্যাংস্টারের ব্যাগেই লুকিয়ে পাক-যোগ! গা শিউরে উঠবে Newtown Encounter-এর ভিতরের তথ্যে


এদিকে তদন্তে যখন নিহত গ্যাংস্টারদের পাক-যোগের সম্ভাবনা যখন উঠে আসছে, তখন এই এনকাউন্টার ঘিরেও একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। সেকারণে এই ফরেনসিক পরীক্ষা বলে জানা গিয়েছে।


কী প্রশ্ন:
------
১) এনকাউন্টারের নাম করে গুলি করে দেওয়া হয়েছে কিনা?
২) যদি দু'তরফ থেকেই গুলি চালানো হয়, তাহলে কারা প্রথম গুলি চালিয়েছিল? 
৩) যাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন, তাঁরা শুয়ে গুলি চালিয়েছিলেন নাকি বসে? নাকি দাঁড়িয়েছিলেন? 
৪) নির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির করে গুলি চালানো হয়েছিল কি?


আরও পড়ুন: ওয়েবসাইটে ফ্ল্যাট ভাড়া, নিউটাউনে নিহত ২ দুষ্কৃতীর দেহ শনাক্ত পাঞ্জাব পুলিসের


জানা গিয়েছে, গ্যাংস্টারদের শরীরে গুলির ক্ষতগুলি পরীক্ষার করে দেখবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। কেন? বোঝার চেষ্টা করা হবে, যিনি গুলি চালিয়েছিলেন, তিনি কতটা লম্বা ছিলেন! খতিয়ে দেখা হবে ফায়ারিং পজিশনও। বাদ যাবে না দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় অস্ত্র ও গুলিও। কারণ, যেধরনের আগ্নেয়াস্ত্র ব্য়বহার করা হয়েছিল, সেগুলি খুবই উন্নতমানের। মনে করা হচ্ছে, ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি নয়