মৌমিতা চক্রবর্তী: সন্দেশখালিতে ইডির উপরে হামলার পর এলাকাছাড়া তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। গতকাল পুলিস গ্রেফতার করেছে তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে। শাহাজাহান বেপাত্তা হয়ে যাওয়ার পর মুখ খুলেছিলেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক নিরাপদ সর্দার। এবার সন্দেশখালির সেই প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ককে আটক করল পুলিস। তাকে আটক করা হল বাঁশদ্রোণী থেকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বাড়ি থেকেই চুরি লক্ষাধিক টাকার ফোন, মহাবিপাকে উদ্বিগ্ন মহারাজ! চিঠি দিলেন থানায়


সন্দেশখালিতে যেদিন ইডির উপরে হামলা হয়েছিল সেইদিন ঘটনাস্থলে হাজির ছিলেন নিরাপদ সর্দার। এমনটাই অভিযোগ উঠছে। তবে সিপিএমের বক্তব্য, ওই দিন সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে যোগ দেওয়ার পর নিরাপদবাবু চলে যান বীরভূম। আজ তাঁকে তার ছেলের বাড়ি বাঁশদ্রোণী থানা এলাকা থেকে আটক করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিস। ওই ঘটনার প্রতিবাতদে ইতিমধ্যেই বিক্ষোভ শুরু করেছে সিপিএম সমর্থকরা। আইনি পথে এর মোকাবিলা করা হবে বলে বলা হয়েছে। নিরাপদ সর্দার এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক। একজন জনপ্রিয় মানুষ। এলাকায় কাজ করছিলেন। সেই কারণেই যারা হামলায় জড়িত তাদের আটক না করে নিরাপদ সর্দারকে আটক করা হয়েছে।


উল্লেখ্য, শেখ শাহজাহানকে যখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না তখন নিরাপদ বাবু বলেছিলেন, পুলিস আড়াল করে রেখেছে শেখ শাহজাহানকে। তিন দিন আগে শেখ শাহজাহানকে সন্দেশখালি থেকে বেরিয়ে কোরাকাঠিতে যেতে দেখেছি। কোরাকাঠির প্রধান কণিকা রায়ের বাড়িতেই সে রাত কাটিয়েছে। তার পরেও পুলিস তাঁকে খুঁজে পাচ্ছে না। আসলে পুলিস তাকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রেখেছে। পুলিস তাঁকে গার্ড করে রেখেছে যাতে তার নাগাল না পাওয়া যায়। সন্দেশখালির বাইরে শাহজাহানের নিরাপত্তা নেই। সন্দেশখালিতেই তাঁকে থাকতে হবে। তাই সে এদিকে ওদিক ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা জানি পুলিস চাইলেই তাকে ধরতে পারে। আসলে  শাহজাহান ধরা পড়লে আরও অনেকে ধরা পড়ে যেতে পারে।


ওই ঘটনা নিয়ে সিপিএমন নেতা বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, পুলিসের প্রস্তুতি দেখেই আশঙ্কা করেছিলাম পুলিস ওখানে গিয়েছে তৃণমূলের দুরৃত্তদের রক্ষা ও যারা আন্দোলন করছেন তাদের বিব্রত করার জন্য। যে শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এত বিক্ষোভ তাকে গ্রেপথার করা হল না অথচ তার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নিরাপদ সর্দারকে আটক করা হল। নিরাপদর বিরুদ্ধে অভিযোগ হল সে সাধারণ মানুষকে উত্তেজিত করেছে। এরাজ্যে অন্যায় যে করে তারাই পুলিসের রক্ষক। যারা অন্যায়ের প্রতিবাদ করে তাদের পুলিসে গ্রেফতার করে। আমরা ছেড়ে দেবে না। আইনি লড়াই করব।


অন্যদিকে, সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, শাহাজাহান গ্রেফতার হয় না, বাকী যারা অভিযুক্ত তারা কেউ গ্রেফতার হল না। আর যারা প্রতিবাদ করল তারাই গ্রেফতার! নিরাপদ ঘটনার সময় ওই জায়গা ছিলই না। ও ছিল রাজ্য কমিটির মিটিংয়ে। পরদিন ও চলে যায় বীরভূমে। কোনও অ্যারেস্ট মেমো নেই, কোনও কাগজপত্র দেখাচ্ছে না পুলিস তাকে বাঁশদ্রোণীতে তার ছেলের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। মাফিয়াদের রক্ষাকর্তা পুলিস। কারণ নিশ্চয় পুলিস তাদের কাছ থেকে পয়সা পায়! এখন থানা বিক্ষোভ চলছে। মাফিয়াদের পুলিস দিয়ে  রক্ষা করতে পারবে না পুলিস।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp)