নিজস্ব প্রতিবেদন: ঘণ্টাখানের মধ্যে যে ঘরের অবহাওয়াটাই বদল যাবে আন্দাজ করতে পারেননি দিদি সুপর্ণা শূর। ভাই স্কুটি হাসপাতালে যাওয়া আগে বলে গিয়েছিল সেখান থেকে ফিরেই ফোঁটা নেবে। তা আর হল না। দুর্ঘটনাতেই সব শেষ। যে ছেলেটা বাড়ির সবকিছু দেখাশোনা করতো তাকেই কেড়ে নিল ঘাতক বাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অসুস্থ ছিলেন কাকা নিমাই শূর। গতকাল রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের ধারে মেডিকা হাসপাতালে। তাঁর মেডিক্লেমের কাগজপত্র নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন গড়িয়ার খরতাবাদের বাসিন্দা শুভজিত্ শূর। ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে একটি কোম্পানিতে চাকরিও করতেন।


আরও পড়ুন-Burdwan: কালীপুজোর পরদিন ভয়াবহ দুর্ঘটনা, পথের বলি একই পরিবারের ৫ জন


আজ সকালে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হওয়ার আগে তাঁকে ভাইফোঁটার কথা মনে করিয়ে দেন দিদি সুপর্ণা। ফোঁটা দেওয়ার জন্য গতকালই তিনি এসে গিয়েছিলেন বোড়াল থেকে। কিন্তু দিদিকে শুভজিত্ বলেন, হাসপাতাল থেকে ফিরেই ফোঁটা নেবেন। স্কুটি নিয়ে হাসপাতাল যাওয়ার পথে শুভজিত্কে পিষে দিয়ে চলে যায় গড়িয়া স্টেশন-বাগবাজার রুটের একটি বাস। 


প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, গড়িয়া থেকে বাগবাজার যাওয়ার পর বাঘাযতীন ফ্লাইওভার পার করে শুভজিতের স্কুটিতে পেছন থেকে ধাক্কা মারে বাসটি। বাসে তখন ৪০-৫০ জন যাত্রী ছিলেন। তাঁরা চিত্কার করে বাসটি থামাতে বসলেও চালক গাড়ি থামাননি। চালক ও খালাসি বাস থেকে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়। এক যাত্রী বাসটিকে থামান। যাত্রীদের মধ্যেই কয়েকজন শুভজিত্কে উদ্ধার করে পিয়ারলেস হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।


আরও পড়ুন-৭ বছরের শিশুর সাথে বাজি নিয়ে যাওয়ার পথে ঘটল ভয়াবহ বিস্ফোরণ! - পন্ডিচেরির সেই ভাইরাল ভিডিও


শুভজিৎ এর এক প্রতিবেশী অনিন্দ্য চক্রবর্তী বলেন, শুভজিৎ ব্রিলিয়ান্ট ছেলে ছিল। ওর বাবা, মায়ের বয়েস হয়েছে। বাড়ির সমস্ত দেখা শোনা, কাজ কর্ম শুভজিৎ নিজেই করত। এভাবে ওর মৃত্যু হবে, ভাবতেই পারছি না।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)