গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় বাংলা বাদ’, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে টুইট অভিষেকের

একই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেও একটি চিঠি লিখেছেন তিনি।

Reported By: কমলিকা সেনগুপ্ত | Updated By: Jun 22, 2020, 04:38 PM IST
গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় বাংলা বাদ’, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে টুইট অভিষেকের
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রের গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান যোজনায় কেন বাংলার মানুষ বঞ্চিত? ক্ষোভ উগরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে টুইট করলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইটারে তিনি লেখেন, "কেন বাংলার ১১ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের অবহেলা? কেন গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা থেকে বাদ বাংলা?"

 

একই ইস্যুতে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি লিখেছেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেও একটি চিঠি লিখেছেন তিনি।

 

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ সাংবাদিক বৈঠক করে গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনা ঘোষণা করেছিলেন। দেখা যায়, তাতে বাংলার কোনও জেলারই নাম নেই। অথচ এই প্রকল্প বাস্তবায়িব হবে ৬টি রাজ্যের মোট ১১৬টি জেলায়।

প্রশ্ন হচ্ছে কীসের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্র? কেন তাতে নাম নেই বাংলার?

কেন্দ্রের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যে যে রাজ্যের জেলাগুলিতে ২৫ হাজার বা তার বেশি পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন, সেই জেলাগুলির নাম রয়েছে। তালিকায় থাকা বিহার, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা ও রাজস্থানে ১১৬টি জেলার পরিযায়ী শ্রমিকরা এই প্রকল্পের আওতায় ১২৫ দিনের কাজ পাবেন। সেক্ষেত্রে বাংলার মানুষ বঞ্চিত হওয়ায় সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল ও কংগ্রেস সাংসদ।

আরও পড়ুন:৬৭ শতাংশ নম্বর নিয়ে স্নাতক, জেলে বসেই পড়া চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ মহিলা জঙ্গি তানিয়া পারভিনের

এবিষয়ে রাজ্যের গরিব মানুষগুলোর স্বার্থেই মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন অধীরবাবু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে  খোলাচিঠিতে তিনি লিখেছেন, "আপনি নিজেই বলেছেন রাজ্যের ১০ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। তাঁরা আজ কর্মহীন, অসহায়। আমি বিস্মিত যে কেন্দ্রের গরিব কল্যাণ রোজগার যোজনায় বাংলার একটি জেলারও নাম নেই। আপনিও হয়তো বিষয়টি জানেন। কিন্তু কেন বাংলার নাম নেই, সে ব্যাপারে কেন্দ্রের সঙ্গে সরাসরি কথা বলুন। অসহায় মানুষগুলো এই প্রকল্পের আওতায় অন্তত ১২৫ দিনের কাজ পাবে।"

.