দফতরের দক্ষতা বুঝতে এবার সরকারি ডেভলপমেন্ট ড্যাশবোর্ড
কর্পোরেট দুনিয়ার মতো এবার সরকারি দফতরেও তৈরি হচ্ছে ডেভলপমেন্ট ড্যাশবোর্ড। এই ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমেই বোঝা যাবে দক্ষতার নিরিখে কোন দফতর কোথায় দাঁড়িয়ে? মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছামতো ড্যাশবোর্ড তৈরিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তত্পরতা। আগামী ছয়ই আগস্ট এ নিয়ে প্রথম বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। তার আগে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কাজের খতিয়ান চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
কলকাতা: কর্পোরেট দুনিয়ার মতো এবার সরকারি দফতরেও তৈরি হচ্ছে ডেভলপমেন্ট ড্যাশবোর্ড। এই ড্যাশবোর্ডের মাধ্যমেই বোঝা যাবে দক্ষতার নিরিখে কোন দফতর কোথায় দাঁড়িয়ে? মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছামতো ড্যাশবোর্ড তৈরিতে শুরু হয়ে গিয়েছে তত্পরতা। আগামী ছয়ই আগস্ট এ নিয়ে প্রথম বৈঠক করবেন মুখ্যসচিব সঞ্জয় মিত্র। তার আগে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কাজের খতিয়ান চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
তিন মাস অন্তর টাউন হলে দফতরগুলির কাজ নিয়ে চুল চেরা বিশ্লেষণ, অথবা প্রশাসনিক কার্যালয়ে মন্ত্রী-সচিবদের ডেকে পাঠিয়ে বৈঠক। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর গত তিন বছর ধরে লাগাতার এরকম বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় অন্তত দশজন মন্ত্রীকে তিনি বদলেছেন, মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় জানিয়েছেন বেশ কয়েকজনকে। এবার আরও কঠোর মুখ্যমন্ত্রী। কাজ কেমন হচ্ছে, তা এক নজরে জেনে নিতে এবার তিনি ড্যাশবোর্ড তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। নোডাল দফতর হিসেবে দায়িত্ব তথ্যসংস্কৃতি সচিব অত্রি ভট্টাচার্যের ওপর।
কী থাকবে রাজ্যের এই ড্যাশবোর্ডে? সংশ্লিষ্ট দফতরের সাপ্তাহিক, মাসিক কিংবা ত্রৈমাসিক পারফরম্যান্সের বিস্তারিত তথ্য। সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির কিছু উল্লেখযোগ্য কাজের খতিয়ান। যার মধ্যে থাকবে একশো দিনের কাজ, ইন্দিরা আবাস যোজনার কাজ, বার্ধক্য ভাতা, গ্রামীণ সড়ক প্রকল্প, পূর্ত দফতরের রাস্তার প্রকল্প, পুরসভাগুলির বস্তি উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের তথ্য।
গ্রাফিকাল প্রেজেন্টেশন দিয়ে এক পাতার মধ্যে সহজ পাঠ্য হবে এই ড্যাশবোর্ড। সরকারি ওয়েবসাইটগুলিতে সাধারণের জন্যও প্রকাশিত হবে এই ড্যাশবোর্ড। বিভিন্ন সময় জেলা সফরে যাওয়ার আগে বা অন্য কোনও প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী দফতরগুলি থেকে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়েও তা পাননি। অনেক সময় মন্ত্রী বা সচিবদের ডেকে তিনি রীতিমতো অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এরপরই ঠিক হয় ধাপে ধাপে সব কটি দফতরকে ধরে ড্যাশবোর্ড তৈরি হবে, যাতে হাতের মুঠোর মধ্যে থাকে যাবতীয় তথ্য।