DA Strike | Kaizer Ahmed: কাইজারের হুমকির পাল্টা এবার সুর চড়ালেন ডিএ আন্দোলনের কর্মীরা
হুঁশিয়ারি দিয়েও পরে ডিএ আন্দোলনকারিদের প্রতি সুর নরম করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগেই নতুন করে হুমকি এসেছে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের থেকে। বলা হয়েছে, ডিএ আন্দোলনকারিদের মাংস খাওয়ালে হবে না। ওদের চাপে রাখতে হবে।
অয়ন ঘোষাল: মাংস ভাত খাওয়াব না। কাইজারের হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এবার পাল্টা হুঁশিয়ারি ডিএ আন্দোলনকারীদের। পঞ্চায়েত ভোটে কোনও রকম বেচাল দেখলেই সেই বুথে ভোট বাতিল করতে বলব।
হুঁশিয়ারি দিয়েও পরে ডিএ আন্দোলনকারিদের প্রতি সুর নরম করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা আগেই নতুন করে হুমকি এসেছে ভাঙড়ের তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদের থেকে। বলা হয়েছে, ডিএ আন্দোলনকারিদের মাংস খাওয়ালে হবে না। ওদের চাপে রাখতে হবে। এর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে এবার সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ জানাল, ‘পঞ্চায়েত ভোটে আমরাই হতে চলেছি প্রিসাইডিং বা পোলিং অফিসার। একটু বেচাল দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে কমিশনকে জানাব’। কড়া মন্তব্য যৌথ মঞ্চের।
অন্যদিকে শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে সরকারের বিরুদ্ধে লাগাতার ডিজিটাল অসহযোগ শুরু করছেন সরকারি কর্মচারিদের একটা বড় অংশ। শুক্রবার রাতের পর অফিস আওয়ার পেরিয়ে গেলে আর কোনও জুম মিটিং, পোর্টাল আপডেট, হোয়াটস্যাপ নির্দেশিকা গ্রহণ করবেন না সরকারি কর্মচারিদের একটা বড় অংশ। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রক্রিয়াকে এই ডিজিটাল অসহযোগ থেকে সম্পূর্ণ বাইরে রাখা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Damini App: আপনার আশেপাশে কি বজ্রপাত হবে? আগাম জানাচ্ছে দামিনী! দেখে নিন একনজরে
তিনটি অঞ্চলে পঞ্চায়েতে প্রার্থী দিয়ে দেখাক বিজেপি। প্রার্থীদের বাড়িতেই থাকতে হবে। এমনই সুর চড়িয়েছিলেন কাইজার। শওকত মোল্লার নেতৃত্বে তৃণমূলের মৌন মিছিলের আগেই কাইজার আহমেদের গলায় শোনা যায় হুমকির সুর। তার দাবি, কাইজার-আরাবুল ছাড়া ভাঙড়ে রাজনীতি সম্ভব নয়। এদিন খানিকটা হুমকির সুরই ছিল কাইজারের গলায়। দলীয় সভায় তিনি প্রকাশ্যেই ভোটের কাজে আশা সরকারি কর্মীদের 'চাপে রাখার' নির্দেশ দেন দলীয় কর্মীদের।
এক কর্মী সভায় তিনি বলেন, ‘ডিএ জন্য চাকরি প্রার্থীরা যারা আন্দোলন করছে তারা ভোটে প্রিসাইডিং অফিসার হয়ে আসবে। তারাই ভোট করাবে। তারা এখন থেকে বলছে, ডিএ দাও, ভাতা দাও, বেশি বেশি টাকা দাও, না হলে ভোট করাতে যাব না। এরা সব ডিস্টার্ব। এখন আসলে ডিস্টার্বেন্স ছাড়াতে হবে। ভোট বুথে এদের নজর রাখবি। মুরগির মাংস বা হেন তেন খাওয়াবি না। বুথের মধ্যে সে আমরা ঠিকঠাক করে নেবো’।
অন্যদিকে, শান্তিপূর্ণভাবে ভাঙড়ে পঞ্চায়েত ভোটের আর্জি জানান শওকত মোল্লা। তিনি বলেন কাইজারের কথাকে সমর্থন করে না দল। মানুষের রায় নিয়েই নির্বাচনে ভাল ফল করবে তৃণমূল। এমনই দাবি ভাঙড়ে তৃণমূলের পর্যবেক্ষককের।