পিয়ালী মিত্র: শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্তে যখন রাজভবনে চিঠি দিয়ে সিসিটিভি ফুটেজ চেয়েছে পুলিস, তখন সোশ্য়াল মিডিয়ায় ফের বার্তা দিলেন রাজ্য়পাল সিভি আনন্দ বোস। মনে করিয়ে দিলেন, 'রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারে না পুলিস। সাংবিধানিক পদাধিকারী রাজ্যপালের রক্ষকবচ রয়েছে'। এমনকী, পুলিসকে কোনও তথ্য না দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন রাজভবনের কর্মীদের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন:  Primary TET: এসএসসির পর এবার প্রাইমারিতেও ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে কীভাবে, রিপোর্টে জানাল সিবিআই


ঘটনাটি ঠিক কী? মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে রাজভবনে তখন তৎপরতা তুঙ্গে। তার মধ্যেই রাজভবনের ওসির ঘরে হাজির হন এক মহিলা।  রাজভবনের ওসির কাছে খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। এরপর ওই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। থনায় ওই মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে খবর। কবে? গত বৃহস্পতিবার।


এদিকে রাজ্য়পাল সাংবিধানিক পদাধিকারী। ফলে শ্লীলতাহানির অভিযোগে FIR দায়ের করতে পারেনি পুলিস। কবে ঠিক কী ঘটেছে? কেনই-বা ওই মহিলার অভিযোগ করছেন? তা জানতে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ চেয়ে চিঠি দিয়েছে লালবাজার। ডিসি সেন্ট্রালের নেতৃত্বে গঠব করা হয়েছে বিশেষ অনুসন্ধানকারী দলও। 


 



রাজ্য়পাল এখন কোচিতে। তৃণমূল নেতা অরূপ চক্রবর্তী বলেন, 'এটা সকলেই জানেন যে, রাজ্যপাল সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পান। নতুন কিছু নয়। কিন্তু আমি যদি দোষী না হই, তাহলে পালিয়ে যাব কেন? যদি দোষী না হই,  তাহলে সিসিটিভি ফুটেজ দিতে বা রাজভবনের কর্মীরা যদি পুলিসের সঙ্গে সহযোগিতা করে, তাহলে অসুবিধা কোথায়'?


অরূপের আরও বক্তব্য, 'আমি সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পাই বলে আদালত আমার বিরুদ্ধে কিছু বলতে পারবে না। সাংবিধানিক রক্ষাকবচ পাই বলে পুলিস কোনও FIR করতে পারবে না। তারজন্য় কন্য়াসমা এক বাঙালির মহিলার শ্লীলতাহানির অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠছে! নিজের বিবেক বলে কিছু থাকবে না! তিনি একটা রাজ্যের রাজ্যপাল! আলংকারিক পদ হলেও, রাজ্য়ের সর্বোচ্চ পদ'! রাজ্য়পালকে তাঁর প্রশ্ন, 'সাংবিধানিক রক্ষাকবচ নিশ্চয়ই পান, তাহলে বাংলার মানুষের কাছে, ওই বাচ্চা মেয়েটার কাছে কি জবাব দেবেন আপনি?কেন পুলিসকে বাধা দিচ্ছেন? কেন আপনার কর্মীদের বাধা দিচ্ছেন পুলিসের সঙ্গে দেখা করতে? কেন সিসিটিভি ফুটেজ  দিতে বাধা দিচ্ছেন'?



আরও পড়ুন: Sandeshkhali Video | Kunal Ghosh: 'সন্দেশখালি ভিডিয়োতে যাদের নাম এসেছে তাদের কাস্টডিতে নিতে হবে, জানতে হবে পেছনে কারা'


এর আগে যে ঘটনা প্রকাশ্যে আসে, সেদিনও সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। এক্স হ্য়ান্ডেল পোস্টে লিখেছিলেন, 'আমাকে কলঙ্কিত করে কেউ যদি ভোটের সময় রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চান, ভগবান তাঁর মঙ্গল করুন। কিন্তু এই বাংলায় সন্ত্রাস এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার লড়াইকে তারা কখনই আটকাতে পারবেনা'। এরপর অপপ্রচারের অভিযোগে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য রাজভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেন বোস।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)