নিজস্ব প্রতিবেদন : ফের বিস্ফোরক রাজ্যপাল। রাজ্যের বিরুদ্ধে ফের তোপ দাগলেন জগদীপ ধনকড়। তাঁর অভিযোগ, "এই সপ্তাহে আমার ১৭টি অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। অনেকেই এসে বলছেন, অনুষ্ঠানের প্রস্তুতির একেবারে শেষপর্বে আয়োজকদের হুমকি দিচ্ছে। বলছে, রাজ্যপালকে ডাকলে ফল ভালো হবে না।" এদিন সায়েন্স সিটিতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এই মন্তব্য করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রসঙ্গত, রাজ্যপালকে ছাড়াই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শনিবার এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বিশেষ সমাবর্তন ছাড়াই হবে অনুষ্ঠান। বিশেষ সমাবর্তন না হওয়ার কারণে রাজ্যপালকে আসতে হবে না বিশ্ববিদ্যালয়ে। সোমবার কোর্ট বৈঠকে বিশেষ সমাবর্তন বাতিল ইস্যুতে চূড়ান্ত শিলমোহর দেওয়ার কথা।


এদিন সেই প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন রাজ্যপাল। বলেন, "আমাকে আমন্ত্রণ না জানানো নিয়ে যাদবপুরের এগজিকিউটিভ কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁর এক্তিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। আমি বলব, এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করুক এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। নইলে আমি আমার এক্তিয়ার প্রয়োগ করব। এগজিকিউটিভ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। অথচ সেটা তাঁদের এক্তিয়ারেই নেই। আমি যাকেই জিজ্ঞেস করছি তাঁরা কিছু জানে না। তারাও ভয়ের মধ্যে আছেন। আমি ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ বাঁচাবই। উপাচার্য শুধু নামেই রয়েছে। শিক্ষার রাজনীতিকরণ হয়ে গিয়েছে। আমি যাদবপুরে গিয়েছি মন্ত্রীকে উদ্ধার করতে। এটা বেআইনি নয়। আইন  আমাকে সেই অধিকার দিয়েছে। আমি যা করছি সেটা আমি না, রাজ্যপাল করছে, যে পদে আমি বসে আছি। আমি চাই না আমার পদের ক্ষমতার সম্পূর্ণ প্রয়োগ করতে।"


আরও পড়ুন, CAA-র বিরোধিতায় ছাত্রদের বিজেপি অফিস ঘেরাও অভিযান, বিজেপির পাল্টা বিক্ষোভে উত্তেজনা এলাকায়


প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত মাস তিনেক আগে। বাবুল সুপ্রিয়কে উদ্ধার করতে ক্যাম্পাসে আসেন খোদ আচার্য। আর এতেই ক্ষোভ  ছড়িয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। এ ক্ষেত্রে বেশিরভাগ ছাত্র সংগঠনই চাইছে না যে অনুষ্ঠানে রাজ্যপাল আসুক। আপত্তি জানিয়ে শনিবার উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে SFI-ও। চিঠিতে রাজ‍্যপালকে 'দাঙ্গাবাজদের দালাল' বলেও উল্লেখ করেছে বাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা।