সংখ্যালঘু উন্নয়নের খতিয়ান `এ টেল অফ ফোর ইয়ার্স`-এ
সংখ্যালঘু বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নে এরাজ্য সামনের সারিতে। এমনই দাবি রাজ্যের। সম্প্রতি রাজ্য সরকার প্রকাশিত বইয়ে উল্লেখ রয়েছে এমনই নানান তথ্য।
ব্যুরো: সংখ্যালঘু বিষয়ক বিভিন্ন উন্নয়নে এরাজ্য সামনের সারিতে। এমনই দাবি রাজ্যের। সম্প্রতি রাজ্য সরকার প্রকাশিত বইয়ে উল্লেখ রয়েছে এমনই নানান তথ্য।
এ টেল অফ ফোর ইয়ার্স। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ে। রাজ্যের দাবি, সাচার কমিটির সুপারিশ মেনে সংখ্যালঘু উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তথ্য অনুযায়ী এরাজ্যে বসবাসকারী মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে বেশির ভাগই পশ্চাতপদ শ্রেণির অন্তর্ভূক্ত।
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ১৭ শতাংশ আসন সংরক্ষণের ফলে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেয়েছেন প্রায় ৬০ হাজার ছাত্রছাত্রী। স্কলারশিপের ক্ষেত্রেও টাকার অঙ্ক প্রায় ১০ গুন বেড়েছে বলেই উল্লেখ রয়েছে রাজ্য সরকার প্রকাশিত বইয়ে।
২০০৭ থেকে এগারো পর্যন্ত স্কলারশিপ অথবা স্টাইপেন্ডের অঙ্ক ছিল ৮ লক্ষ ৫৮ হাজার ২১৯...২০১১ থেকে ২০১৫-র মধ্যে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৪ লক্ষতে। স্কলারশিপ বা স্টাইপেন্ডের অর্থও অনেকগুন বেড়েছে বলেই দাবি রাজ্যের। দুহাজার পনেরো সাল পর্যন্ত সেই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা।
স্বনির্ভর প্রকল্পের জন্য ঋণ অনুমোদন এবং প্রাপকের পরিমাণও বেড়েছে অনেকখানি। দুহাজার সাত থেকে দুহাজার এগারো পর্যন্ত ঋণ পেয়েছেন ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৫৭জন। দুহাজার পনেরোতে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার৪০০ জনে। দেয় ঝণের পরিমাণও বেড়েছে দুহাজার এগারো পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার পরিমাণ ছিল ২২৫.৮৬ কোটি টাকা। দুহাজার পনেরো সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৯ কোটি টাকায়।
২০ একর জমি নিয়ে নিউটাউনে প্রস্তাবিত আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের উদ্বোধন হয়েছে । পার্ক সার্কাসেও অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের কাজ শেষের পথে। মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীদের ইন্টারনেট ব্যবহার এবং কম্পিউটার ব্যবহারের প্রাথমিক শিক্ষা সহ আরও বেশকিছু বিষয়েও উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য। সারা দেশের মধ্যে এমন উদ্যোগ এরাজ্যেই প্রথম। ছাত্র-ছাত্রীদের থাকার জন্য তিনশো বিরাশিটি হস্টেল তৈরির কাজ চলছে। যার মধ্যে একশো ৯২টি ছাত্রীদের জন্য এবং ছাত্রদের জন্য ১৯০টি। এর ফলে প্রায় ২০ হাজার ছাত্রছাত্রী উপকৃত হবে বলেই দাবি রাজ্য সরকারের।
আইটিআই এবং পলিটেকনিক কলেজের ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে বলে দাবি রাজ্য সরকারের। ৩৯টি আইটিআই এবং ৮টি পলিটেকনিক কলেজ তৈরি হচ্ছে সংখ্যালঘু এলাকায়। স্বনির্ভর আয়ের জন্যও বেশকিছু মার্কেটিং হাবের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নাম দেওয়া হয়েছে কর্মতীর্থ। এমন ১৩২টি মার্কেটিং হাব তৈরি হবে যেখানে সংখ্যালঘু যুবকরা সুযোগ পাবেন স্বনির্ভর হওয়ার এছাড়াও প্রত্যেক জেলায় সংখ্যালঘু ভবন গড়ে তোলার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
নিউটাউনের রাজারহাটে পাচ একর জমি নেওয়া হয়েছে থার্ড হজ হাউস তৈরির জন্য। রাজ্য সরকারের প্রকাশিত বইয়ে সংখ্যালঘুদের জন্য বাসস্থান নির্মাণেও এগিয়েছে রাজ্য । ২০০৭ সাল থেকে ২০১১ সালে বাড়ির সংখ্যা ছিল ৪০ হাজার ৯৭০টি। ২০১১ থেকে ২০১৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮১ হাজারে।