কোর্টের নির্দেশ অমান্য করে নলবন অধিগ্রহণের পথে রাজ্য
আদালতের স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য করে নলবন বোটিং কমপ্লেক্স অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোলো রাজ্য। আজ নলবনের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থাকে বিধাননগর পুলিস ও পৌরসভার তরফে নোটিস জারি করা হল। নোটিসে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নলবন ভাড়া দেওয়া যাবে না।
আদালতের স্থগিতাদেশ অগ্রাহ্য করে নলবন বোটিং কমপ্লেক্স অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগোলো রাজ্য। আজ নলবনের দায়িত্বে থাকা বেসরকারি সংস্থাকে বিধাননগর পুলিস ও পৌরসভার তরফে নোটিস জারি করা হল। নোটিসে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নলবন ভাড়া দেওয়া যাবে না।
ইকো পার্কের পরিকাঠামো দেখতে মুখ্যমন্ত্রীর সফর। তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিস ও পৌরসভার তরফে নিষেধাজ্ঞার নোটিস। নলবন বোটিং কমপ্লেক্সের লিজপ্রাপ্ত সংস্থা বংশীলাল লেইজার পার্কের বিরুদ্ধে একের পর এক পদক্ষেপে আদালত অবমাননা ঘটছে বলে আইনজ্ঞদের মত। ১৯৯৮ থেকে প্রমোদ সংস্থাটি নলবনের লিজ হোল্ডার। ২০৪০ পর্যন্ত এই লিজের মেয়াদ রয়েছে। সেই লিজ একতরফাভাবে ভাঙার দায়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে মামলা চলছে। ১৫ মে সেই মামলার শুনানিতে বারাসত আদালত জানিয়েছিল, মামলার নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বংশীলাল লেইজার পার্ক লিমিটেড নলবন বোটিং কমপ্লেক্সে তাদের বাণিজ্যিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে পারবে। রাজ্য সরকার কোনওভাবেই সেখানে বাধাসৃষ্টি করতে পারবেনা। সেই নির্দেশকে কার্যত ধর্তব্যের মধ্যেই আনেনি রাজ্য সরকার।
আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরপরই পয়লা মে-থেকে বেশ কিছু বহিরাগত নলবন চত্বরে ঢুকে কাজকর্ম বন্ধ করার হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে পালিয়ে যান বংশীলাল লেইজার পার্ক নিয়োজিত ঠিকাকর্মীরা। বন্ধ হয়ে যায় বিয়েবাড়ির অনুষ্ঠান, বোটিং, রেস্তোরা ও পানশালাগুলি। প্রতিদিন গড়ে ৮০ হাজার টাকা করে লোকসান গুনতে শুরু করেন ভরত জৈন। ক্রমশঃ পরিস্থিতি আরও জটিল আকার নেওয়ায় ৮ই মে থেকে বন্ধ হয়ে যায় নলবন বোটিং কমপ্লেক্স।
এরই মধ্যে শনিবার বিয়েবাড়ি বন্ধের নির্দেশ আসে পুলিস ও পৌরসভার তরফে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন নলবন কর্তৃপক্ষ।