আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে হবে ভারী বৃষ্টি, পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের

আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বেশ কয়েকটি জায়গায়। গতকাল উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে আজ। এর জেরেই দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

Updated By: Aug 9, 2014, 04:33 PM IST

ওয়েব ডেস্ক: আগামী চব্বিশ ঘণ্টায় কলকাতা সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর। অতি ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বেশ কয়েকটি জায়গায়। গতকাল উত্তর বঙ্গোপসাগরের ওপর যে ঘূর্ণাবর্ত ছিল, তা নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে আজ। এর জেরেই দিনভর বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।

আজ সকাল থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। বঙ্গোপসাগরের ওপর ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেইকারণে মত্‍স্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।  

এদিকে, প্রবল বর্ষণে ভাসছে মেদিনীপুর, বীরভূম। রাতভর বৃষ্টিতে ডুবে রয়েছে কাঁথি। দীঘায় জলোচ্ছ্বাসে আতঙ্কিত পর্যটকরা। রসুলপুর নদীতে জোয়ারের জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ঝাড়খণ্ডে অতিবৃষ্টির ফলে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হিংলো নদীর জল।

সাগর ফুঁসছে। দীঘাতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস। সমুদ্র উপকূলের তাজপুর, জামরা, শঙ্করপুর এলাকা জলমগ্ন। পূর্ব মেদিনীপুরের  ফুলেশ্বর, ভোবাবেড়িয়া, আঁউরাই, শরদা এলাকা প্লাবিত হয়েছে বৃষ্টির জলে। মগরা খালের বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করেছে। রাতভর টানা বৃষ্টিতে জলে ঢুবে রয়েছে কাঁথির বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় লক্ষাধিক একর চাষজমি জলের তলায়। বহু বাড়িতে জল ঢুকেছে। কাঁথি হাসপাতাল চত্বরেও জল জমেছে।

প্লাবিত পূর্ব মেদিনীপুরের মরিশদার দশমাইল গ্রাম। অতি বৃষ্টি, তার ওপর রসুলপুর নদীতে জোয়ারের জেরে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। প্রশাসনের তরফে ত্রানের কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিবাদে শুক্রবার পথে নামেন তাঁরা। দিঘা-নন্দকুমার সড়ক অবরোধ করেন। অবরোধের জেরে ব্যাপক যানজটে নাকাল হন নিত্যযাত্রীরা।

ঝাড়খণ্ডে অতি বৃষ্টির ফলে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে হিংলো নদীর জল। বীরভূমের খয়রাশোলে  জলমগ্ন ষাট নম্বর জাতীয় সড়ক। এদিন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। স্থানীয়ভাবে কোনও লকগেট  না থাকায় নদী ছাপিয়ে যে জল আসছে, তা  আটকানোর কোনও উপায় নেই।  ফলে ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।

.