খাগড়াগড় কাণ্ডে শিক্ষা নিয়ে কলকাতায় কঠোর হল ভাড়া দেওয়ার নিয়ম
![খাগড়াগড় কাণ্ডে শিক্ষা নিয়ে কলকাতায় কঠোর হল ভাড়া দেওয়ার নিয়ম খাগড়াগড় কাণ্ডে শিক্ষা নিয়ে কলকাতায় কঠোর হল ভাড়া দেওয়ার নিয়ম](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2015/06/30/39613-kolkatakhagra.jpg)
খাগড়াগড় বিস্ফোরণ টনক নড়িয়ে দিয়েছে। কলকাতা শহরেও কি গোপনে গজিয়ে উঠছে সন্ত্রাসের ডেরা? আগাম সতর্ক কলকাতা পুলিস। তাদের নির্দেশিকা, পুলিসকে না জানিয়ে দোকান বা বাড়ি ভাড়া দেওয়া যাবে না। বিধি না মানলেই জরিমানা। হতে পারে জেল। এভাবেই কেঁপে উঠেছিল খাগড়াগড়।
গোটা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল এই বিস্ফোরণ। সন্ত্রাসের রক্তচক্ষু থাবা বসিয়েছিল রাজ্যে। তদন্তে নেমে এনআইএ জানতে পারে, শুধু রাজ্য বা দেশ নয়, সন্ত্রাসের জাল ছড়িয়ে বিদেশেও। শুধু খাগড়াগড় নয়, অন্যান্য জেলাতেও দীর্ঘদিন ধরে ডেরা বেঁধেছিল জঙ্গিরা। একে একে খুলে পড়ে মুখোশ। এরপর থেকেই উঠতে থাকে প্রশ্ন, আদৌ কি নিরাপদ রাজ্য? আদৌ কি নিরাপদ কলকাতা? শহরের আনাচে-কানাচে ডেরা বেঁধে নেই তো কুখ্যাত দুষ্কৃতীরা? আর একটা খাগড়াগড় বেরিয়ে পড়বে না তো? তাই আগাম সতর্ক কলকাতা পুলিস।এখন থেকে পুলিসকে না জানিয়ে কাউকে বাড়ি কিংবা দোকান ভাড়া দেওয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কোনও অবস্থাতেই কলকাতা পুলিসকে না জানিয়ে কোনও বাড়ি বা দোকান ভাড়া দেওয়া যাবে না। এই বিধি না মানলে জরিমানা তো হবেই, হতে পারে জেলও। সোমবার কলকাতা পুলিসের তরফে এক নির্দেশিকায় একথা জানানো হয়েছে।
পুলিসের নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, পুলিসকে না জানিয়ে বাড়ি বা দোকান ভাড়া দেওয়া এখন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় ওই ব্যক্তির একমাস পর্যন্ত জেল, ২০০ টাকা জরিমানা হতে পারে। আপাতত ২৪ শে জুন থেকে ২২শে অগাস্ট পর্যন্ত এই আইন বলবত্ থাকবে।
আইন তো হল। কিন্তু ফাঁক নেই তো? কতটা কড়া হবে নজরদারি? আইনের ফাঁক গলে আবার প্যাঁকাল মাছের মতো কেউ পিছলে বেরিয়ে যাবে না তো? সেই প্রশ্নও কিন্তু উঠছে।