ওয়েব ডেস্ক : সল্টলেকের অভিজাত আবাসনে মা ও শিশুপুত্রের রহস্যমৃত্যু। ঘর থেকে উদ্ধার ওড়নার ফাঁস লাগানো মায়ের দেহ। ওড়নার আরেক প্রান্তের ফাঁস ছিল মৃত শিশুর দেহেও।  ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় দুজনেরই দেহ। সল্টলেকের EE ব্লকের সৌরভ আবাসনে দুই ছেলে ও স্বামীকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন পৌলমী রাউত। স্বামী অনুপ রাউত সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস আটক করেছে পৌলমির স্বামীকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিছুদিন আগে পৌলমীর শ্বশুর-শাশুড়িও তাঁদের সঙ্গে থাকতে আসেন। আজ বিকেল ৫টা নাগাদ দরজা ধাক্কা দিলেও পৌলমীর সাড়া পাননি শ্বশুর-শাশুড়ি। কিছুক্ষণ পর দরজা ভাঙা হয়। তখনই দেখা যায়, গলায় ওড়না জড়ানো ঝুলন্ত পৌলমীর নিথর দেহ। ওড়নার আরেক প্রান্ত জড়ানো ছিল শিশুর গলায়।  প্রথম এই দৃশ্য দেখে মৃতার আট বছরের ছেলে। তার সঙ্গে কথা বলে ঘটনা জানার চেষ্টা করছে  বিধাননগর পূর্ব থানার পুলিস। ইতিমধ্যেই পৌলমীর স্বামী অনুপ রাউতকে আটক করে জেরা শুরু করেছে পুলিস।  প্রাথমিক অনুমান, শিশুপুত্রকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন পৌলমী। তবে, কেন পৌলমী এমনটা ঘটালেন তা স্পষ্ট নয়।


আরও পড়ুন- প্রেমের দিবসে প্রেম ভাঙল দুই পুরুষের, উঠতি মডেলের প্রতারণার শিকার এক মেকআপ আর্টিস্ট!


কেমন করে মৃত্যু হল পৌলমী রাউতের? ঘটনার  গভীরে পৌঁছতে তার আট বছরের ছেলের সঙ্গে কথা বলছে পুলিস। পৌলমীর বড় ছেলেই প্রথম ঝুলন্ত মাকে দেখতে পায়। ক্লাস টুয়ের ছেলেটি জানলার ফাঁক দিয়ে দেখে সিলিং ফ্যান থেকে ওড়নার ফাঁসে ঝুলছে মা। সেই ওড়নারই আরেক প্রান্ত দিয়ে ভাই বাঁধা রয়েছে মায়ের কোমরে। এর পরেই চিত্কার শুরু করে সে। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারা দরজা ভেঙে ঢোকার আগেই ওড়না ছিড়ে দুটি দেহ বিছানায় পড়ে যায়। এদিকে, পৌলমীর বাড়ির লোকেদের অভিযোগ তাঁর ওপর অত্যাচার করতো অনুপ। করা হত মানসিক অত্যাচারও।