২৪ ঘণ্টার খবরের জের, শিক্ষা সংসদের সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত

মার্কশিট কেলেঙ্কারিতে যুক্ত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব। বৃহস্পতিবার শিক্ষা সংসদে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর প্রাথমিকভাবে উঠে এল এই তথ্য। গতকালই ২৪ ঘন্টায় দেখানো হয় কীভাবে সচিব নিজে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে এক ছাত্রের পদার্থবিদ্যার নম্বর বাড়াতে সাহায্য করেছেন। সরকারের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পাঠাচ্ছে সংসদ কর্তৃপক্ষ।

Updated By: Jul 19, 2012, 06:11 PM IST

মার্কশিট কেলেঙ্কারিতে যুক্ত উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব। বৃহস্পতিবার শিক্ষা সংসদে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর প্রাথমিকভাবে উঠে এল এই তথ্য। গতকালই ২৪ ঘন্টায় দেখানো হয় কীভাবে সচিব নিজে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে এক ছাত্রের পদার্থবিদ্যার নম্বর বাড়াতে সাহায্য করেছেন। সরকারের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পাঠাচ্ছে সংসদ কর্তৃপক্ষ।
উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নিয়ম অনুযায়ী কোনও খাতার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রধানপরীক্ষকের বক্তব্যই শেষ কথা। কিন্তু সেই নিয়মের তোয়াক্কা না করেই  এক ছাত্রকে নম্বর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে উচ্চমাধ্যামিক সংসদের সচিবের বিরুদ্ধে। গোটা ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে পরীক্ষাব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা। ২৪ ঘণ্টায় বুধবার এই খবর সম্প্রচারের পরেই নড়চড়ে বসেন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের কর্তারা।  বৃহস্পতিবার শিক্ষা সংসদে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসেন  শিক্ষা সংসদের সভাপতি, অভিযুক্ত সচিব এবং পরীক্ষা নিয়ামক। সেখানেই গোটা কেলেঙ্কারিতে সচিবের জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। সচিব নিজেও এবিষয়ে দায় স্বীকার করেছেন। কিন্তু তাঁর দাবি ছাত্রের মা তাঁর কাছে এসে কাঁদায় তিনি এই কাজ করেছেন। যদিও সংসদের অনেকেই মনে করছেন এই কাজের পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে। উচ্চমাধ্যমিক সংসদের তরফে রাজ্যসরকারের কাছে গোটা ঘটনার বিবরণ জানিয়ে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। এদিকে বৃহষ্পতিবারই সংসদের কর্মচারীর সমিতি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে সভাপতির কাছে।
সংসদের তরফে যে রিপোর্ট পাঠানো হচ্ছে সেখানে সচিবের পাশাপাশি পরীক্ষা নিয়ামকও এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করা হচ্ছে। কারণ সংসদ মনে করছে বেআইনি জেনেও পরীক্ষা নিয়ামক এই কাজে সাহায্য করেছেন। অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিকের অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের রিভিউ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার আগেই প্রধান পরীক্ষককে বিশেষভাবে ওই ছাত্রের ফিজিক্স উত্তরপত্রের নম্বর রিভিউ করতে বলা হয় শিক্ষা সংসদের তরফে। খাতা রিভিউয়ের পর প্রধান পরীক্ষক চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন নম্বর বাড়ানো যাচ্ছে না। পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত নম্বর একই থাকছে। কিন্তু প্রধান পরীক্ষকের মত জানার পর অন্য একজন পরীক্ষককে দিয়ে আলাদাভাবে খাতা দেখানো হয়। আর এতেই বেড়ে যায় নম্বর।
২১.০৬.২০১২
বর্ধমান রিজিয়নের প্রধান পরীক্ষক এই বিশেষ ছাত্রের খাতা একজন পরীক্ষককে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে লিখিতভাবে জানালেন নম্বর পরিবর্তন হচ্ছে না। প্রধান পরীক্ষকের চিঠি পৌঁছাল বর্ধমান রিজিয়নাল অফিসে। চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হল হেড অফিস অর্থাত্ কলকাতায়।
২৮ -০৬-২০১২
নতুন এক পরীক্ষক, চিঠি লিখলেন শিক্ষা সংসদের সচিবকে। চিঠিতে বললেন, সচিবের নির্দেশমতো ওই বিশেষ ছাত্রের খাতা তিনি পরীক্ষা করেছেন। ওই ছাত্রের খাতা দেখা ঠিকভাবেই হয়েছে। তবে চাইলে এক নম্বর বাড়ানো যেতে পারে। এই চিঠির উত্তরে সচিব ওই পরীক্ষককে নিজের সই সহ ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি পাঠান।
২৬-০৬-২০১২
রাজ্যের অন্য ছাত্ররা রিভিউয়ের নম্বর হাতে পেল না কিন্তু সেই বিশেষ ছাত্রের হাতে নতুন বর্ধিত নম্বরের মার্কশিট তুলে দেওয়া হল।
 

.