বিক্রম দাস: বালিগঞ্জের গরচায় একটি বেসরকারি সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আসলে কয়লা পাচারের। এক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা তার কালো টাকা সাদা করছিলেন। ওই কাজ হচ্ছিল ওই প্রভাশালী নেতা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মনজিত্ সিং গেরেওয়ালের মাধ্যমে। বাজার মূল্যের থেকে কম দামে ৩ কোটি টাকা একটি সম্পত্তি হস্তান্তর হয়। পাশাপাশি ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন হচ্ছিল। সেই টাকার একটি অংশমাত্র উদ্ধার হয়েছে। এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কুড়ি ডিগ্রির উপরে কলকাতার পারদ, সপ্তাহান্তে শেষ শীতের আমেজ


ইডির তরফে দাবি করা হচ্ছে, অত্যন্ত প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পক্ষে মনজিত্ সিং গেরেওয়াল নামে এক ব্যক্তি কয়লা পাচারের টাকা দিয়ে চক্রবেড়িয়া এলাকায় একটি গেস্টহাউস কেনার চেষ্টা করেন। ওই সম্পত্তির বাজার মূল্য প্রায় ১২ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন হচ্ছিল। সেই টাকার মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা গতকাল বালিগঞ্জের এক নির্মাণ সংস্থার অফিস থেকে বাজেয়াপ্ত করে ইডি। সেখানেই তা লেনদেন হচ্ছিল। কেনেদ্রীয় তদন্ত সংস্থার কাছে খবর ছিল কয়লা পাচারের টাকা একটি সংস্থার মাধ্যমে সাদা করার চেষ্টা হচ্ছে। ওই খবরের ভিত্তিতেই ওই সংস্থায় তল্লাশি চালানো হয়। ইডি সূত্রে খবর ১২ কোটি টাকার সম্পত্তির দাম মাত্র ৩ কোটি টাকা দেখিয়ে কেনা হচ্ছিল। বাকী ৯ কোটি টাকা নগদে লেনদেন করা হচ্ছিল। সেটা করছিলেন মনজিত্ সিং গেরেওয়াল। শহরে তাঁর একটি জনপ্রিয় ধাবা রয়েছে।


ইডির তরফে বলা হচ্ছে, গতকাল বালিগঞ্জের গরচায় একটি বেসরকারি সংস্থায় যখন তল্লাশি চলছিল তখন নগদ উদ্ধারের পাশাপাশি আরও তথ্য ইডি আধিকারিকদের হাতে আসে। সেটি হল একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের কথায় ওই গেস্টহাউসটি কেনার পাশাপাশি তিনিই আবার এক মন্ত্রীর কালো টাকা সামলাতেন।  যে ব্যক্তির অফিস থেকে ওই টাকা উদ্ধার হয়েছে তাতে তলব করেছে ইডি।


উল্লেখ্য, গরচায় একটি বেসরকারি সংস্থার অফিসে হানা দিয়ে এক কোটি চল্লিশ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল ইডি। ১০ ঘণ্টা ধরে তল্লাশি চালায় ইডি-র আধিকারিকরা। একজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। বুধবার সন্ধেয় দিল্লি থেকে আসা ইডির একটি বিশেষ দল ওই অভিযান চালায়। সূত্রের খবর, ওই টাকার সঙ্গে কলকাতার একটি নামী রেস্তঁরা চেনের মালিকের সম্পর্ক রয়েছে। তাঁকেও জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা।


বুধবার দুপুর থেকেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান। এরপর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর চারটে অবধি তা চলে। ৫এ, আর্ল স্ট্রিটে ওই বেসরকারি সংস্থার অফিস। সেখানেই চলে অভিযান। ওই উদ্ধার হওয়া টাকার হিসেব সংস্থার মালিক বিক্রম শিকারিয়া দিতে পারেননি। ইডি সূত্রে তখনই জানা গিয়েছিল দক্ষিণ কলকাতার এক ধাবা মালিকের সঙ্গে একটি ব্যবসায়িক যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছে গজরাজ নামে ওই নির্মাণ সংস্থার। বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকাও ওই ধাবার মালিকের কাছ থেকেই এসেছিল বলেও জানা গিয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)