অনশন তুলে নিলেন প্রেসিডেন্সির ছাত্র-ছাত্রীরা
নির্দিষ্ট উপস্থিতি যাদের নেই তারা কোনওভাবেই ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। তবে তাদের ভোট দিতে পারবেন। প্রেসিডেন্সির বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে অনশন তুলে নিলেন বিক্ষোভকারীরা। তবে এই অবস্থায় ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গণভোটের ডাক দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।
কলকাতা: নির্দিষ্ট উপস্থিতি যাদের নেই তারা কোনওভাবেই ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। তবে তাদের ভোট দিতে পারবেন। প্রেসিডেন্সির বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সিদ্ধান্তে অনশন তুলে নিলেন বিক্ষোভকারীরা। তবে এই অবস্থায় ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গণভোটের ডাক দিয়েছে ছাত্রছাত্রীরা।
ক্লাসে ৬০ শতাংশ উপস্থিতির হার যাদের নেই তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সোমবার বিকেল থেকে অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে সটান অনশন মঞ্চে হাজির হন উপাচার্য। ছাত্রছাত্রীদের হাত ধরে বোঝানোর চেষ্টা করেন । অনশন তুলে নেওয়ার আর্জি জানান।
উপাচার্যের ডাকে এরপরেই তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসেন ছাত্রছাত্রীরা। যে একশো আশিজন ছাত্রছাত্রী ভোট প্রক্রিয়া থেকে বাদ পড়ছিলেন উপাচার্য তাদের ভোটাধিকার মেনে নেন। তবে তারা কোনওভাবেই ভোটে লড়তে পারবেন না বলে পরিষ্কার জানিয়ে দেন তিনি।
এদিন সকালেই অনশন প্রত্যাহার করেন ছাত্রছাত্রীরা। এদিকে ছাত্রছাত্রীদের এভাবে হঠাত্ অনশনে বসা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
অনেকেই অবশ্য প্রশ্ন তুলেছেন ভোটাধিকার মেনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগে কেন নিল না কর্তৃপক্ষ। আর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম যদি মানতেই হয়, তাহলে কেন ছাড় দেওয়া হল । কর্তৃপক্ষ অবশ্য বলছেন প্রথম বছর বলেই এই সিদ্ধান্ত। আগামী বছর থেকে ৭৫ শতাংশের নীচে যাদের উপস্থিতি হবে তারা কোনওভাবেই ভোট প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন না।