বিজেপিকে রুখতে একজোট বিরোধীরা, বাম-কংগ্রেসের সর্বদল প্রস্তাবে সায় দিতে পারে রাজ্য সরকার
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিরোধীদের সর্বদল বৈঠকের প্রস্তাব মেনে নিতে পারে সরকার। সোমবার বিধানসভায় এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বিরোধীদের সর্বদল বৈঠকের প্রস্তাব মেনে নিতে পারে সরকার। সোমবার বিধানসভায় এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিজেপিকে রুখতে আরও কাছাকাছি বাম-কংগ্রেস –তৃণমূল। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে প্রস্তাব জমা দেওয়া হয়েছে। আলোচনা আদৌ করা হবে কিনা বা কবে হবে, তা অধ্যক্ষ ঠিক করবেন বলে জানান পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
এদিন বিধানসভায় আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘ধর্মের জন্য কোথাও কাউকে এতদিন খুন হতে হয়নি। এখন যা হচ্ছে, আগে তা হয়নি। এই ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত সরকার পক্ষও আমাদের মতকেসমর্থন করবে। এর জন্য সর্বদলীয় আলোচনার প্রস্তাব আনার দাবি করলাম।’’ ধর্মীয় ইস্যুতে সর্বদল বৈঠকের দাবি জানান তিনি। গণপিটুনির প্রসঙ্গ তুলে বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের সঙ্গে সর্বদলীয় প্রস্তাবের পক্ষে সুর চড়ান সুজন চক্রবর্তীও।
দমদমে তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর রহস্যমৃত্যু, কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধীদের প্রস্তাবকে সমর্থন করে স্পিকারকে নোটিশ দেবেন বলে জানান। পার্থ চট্টোপাধ্যায় এদিন বলেন, ‘‘আমাদের মতাদর্শ আলাদা হতে পারে, কিন্তু বাংলাকে ধর্মীয় ভাবে ভাগ করার চেষ্টা যারা করবে, তারা বিচ্ছিন্ন হবে। ’’ তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গ ঝাড়খণ্ড কিংবা উত্তরপ্রদেশ নয়। যারা পশ্চিমবঙ্গকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজিত করার চেষ্টা করছে, তাঁরা সফল হবে না।”
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, বিজেপিকে রুখতে গেলে সব পক্ষকে এক হতে হবে। সেদিনের সেই প্রস্তাবে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল বিরোধীরাও।
হারলে রক্ষে নেই, ৮ জেলা সভাপতির চাকরি খেয়ে বুঝিয়ে দিলেন অমিত শাহ
এদিন বিধানসভায় ব্যান্ডেলে তৃণমূলনেতা খুনের বিষয়ে অধ্যক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার। বিধানসভাতে দাঁড়িয়েই তিনি অভিযোগ করেন, বিজেপি আশ্রীত গুণ্ডারাই তৃণমূলনেতাকে মেরেছে। যদিও তাঁকে থামিয়ে দেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, “পুলিস এই ঘটনার তদন্ত করছে। এখনই বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করবেন না।”
এদিন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের ঘরে এই প্রস্তাবের বিষয়ে আলোচনা করেন বাম-কংগ্রেস-তৃণমূল বিধায়করা। অর্থাত্ ভেদাভেদের রাজনীতি কিংবা গণপিটুনি রুখতে বিজেপি ছাড়া বাম-কংগ্রেস তৃণমূল এখন কার্যত একজোট। অন্তত এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।