মমতা সরকারের আমলে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে, এটা কোন বাংলা! সুর চড়ালেন নাড্ডা
করোন লকডাউনের সময়ে বিজেপি নেতাদের জনসেবায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতায় দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করতে এসে মমতা সরকারকে উত্খাতের ডাক দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন-'বিহারের কথা ভাবুন, বাংলাতেও ২০০ আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি'
এদিন হেস্টিংসে ওই দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধের পর ভাষণে নাড্ডা বলেন, অসহিষ্ণুতার আরেক নাম মমতা। তৃণমূল সরকারের আমলে রাজ্যে অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে। রাজ্যে ১৩০ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। আমি নিজে ১০০ কর্মীর জন্য তর্পণ করেছি। এটা কোন বাংলা!
শ্যামপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের একটি উক্তি টেনে নাড্ডা বলেন, উনি আমাদের শৃঙ্খলার সঙ্গে ধৈর্যেরও পাঠ দিয়েছিলেন। এখানে রবীন্দ্রনাথ জন্মেছিলেন। তাঁর দেখান পথের কথা আমরা সবাই জানি। ঋষি অরবিন্দ শুধু দেশ নয় গোটা বিশ্বকে পথ দেখিয়েছিলেন। রাজনৈতিক আদর্শের ক্ষেত্রে মত পার্থক্য থাকতে পারে। কিন্তু বাংলায় আজ আমরা দেখছি অসহিষ্ণুতা বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন-নজরে একুশের বিধানসভা, কর্পোরেট কায়দায় তৈরি বিজেপির বিশাল ওয়াররুম
করোন লকডাউনের সময়ে বিজেপি নেতাদের জনসেবায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ, সুভাষ সরকার, দেবশ্রী চৌধুরী, সুকান্ত মজুমদার, অর্জুন সিংয়ের মতো নেতাদের ঘরের সামনে নোটিস ঝোলান হয়েছিল। তাদের ঘর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি। তার পরেও বিজেপি কর্মীরা মানুষের কাছে ১ কোটি ৬ লক্ষ খাবারের প্যাকেট বন্টন করেছিল।
দলীয় কার্যালয় প্রসঙ্গে নাড্ডা বলেন, আমাদের পার্টি চলে কার্যালয় থেকে। কারও কারও দল চলে বাড়ি থেকে। প্রসঙ্গত, এদিন ভার্চুয়ালি রাজ্যে বিজেপির ৯টি দলীয় কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন বিজেপি সভাপতি।
উল্লেখ্য, নাড্ডার বক্তব্য নিয়ে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।