Jadavpur University: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক চিহ্নিতকরণে ডিভাইস!
ক্যাম্পাসে মাদক নিষিদ্ধ। মাদক সহ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যবহার করা যায় না, এমন কোনও সামগ্রী সহ কেউ ধরা পড়লেই বা সেরকম কোনও কাজ কেউ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মাদক চিহ্নিতকরণে প্রযুক্তি ব্যবহারের ভাবনাচিন্তা কর্তৃপক্ষের। ডিভাইসের মাধ্যমে চিহ্নিত করা যাবে মাদক। কেউ মাদক বহন করলে, সহজেই তাকে ধরা যাবে এই ডিভাইসের মাধ্যমে। এমনটাই জানিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। প্রসঙ্গত, প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর পর ইতিমধ্যেই যাদবপুরের একাধিক বিধিনিষেধ কড়াকড়ি করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে মাদক নিষিদ্ধ। মাদক সহ ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ব্যবহার করা যায় না, এমন কোনও সামগ্রী সহ কেউ ধরা পড়লেই বা সেরকম কোনও কাজ কেউ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবার উপাচার্য জানালেন, ডিভাইসের মাধ্যমে মাদক চিহ্নিতকরণের ভাবনা!
পড়ুয়াদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশে আগেই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পরিচয়পত্র। আইডি কার্ড দেখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রাত ৮টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চালু এই নিয়ম। পরিচয়পত্র ছাড়া ক্যাম্পাসে প্রবেশ নয়। পরিচয়পত্র দেখিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকা বাধ্যতামূলক। এর পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাতে বহিরাগত কেউ না ঢোকে, সেজন্য মোতায়েন করা হচ্ছে এক্স-সার্ভিসম্যানদের। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি গেটে এবং হস্টেলের গেটে এক্স-সার্ভিসম্যান মোতায়েন করার অর্ডার দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মোট ৩০ জন এক্স-সার্ভিসম্যান নিয়োগ করা হবে। প্রতি শিফটে ১৫ জন করে কাজ করবেন। এছাড়া থাকবেন ২ জন সুপারভাইজার। মূলত গেট দিয়ে যাতে অবাঞ্ছিত কেউ না ঢুকতে পারে সেই দিকেই নজর রাখবেন এই এক্স-সার্ভিসম্যানরা। প্রয়োজন হলে রাতে ক্যাম্পাসেও টহল দেবে এই এক্স-সার্ভিসম্যানদের গ্রুপ।
একইসঙ্গে বাড়ছে সিসিটিভি-র নজরদারিও। ইতিমধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সিসিটিভি বসানোর ওয়ার্ক অর্ডার ইস্যু করেছে কর্তৃপক্ষ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি জায়গায় দু'ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা বসবে। যার মধ্যে ২১টি বুলেট ক্যামেরা আর ৫টা এএনপিআর ক্যামেরা বসবে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, র্যাগিং রুখতে যাদবপুরের অন্তবর্তী উপাচার্যকে ইসরোর সঙ্গে কথা বলতেও পরামর্শ দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। রাজ্য়পালকে সাহায্যের আশ্বাস দেয় ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থাও। এই বিষয়টি ফলপ্রসূ করতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউকে দেন রাজ্যপাল। এরপরই ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথের সঙ্গে কথা বলেন বুদ্ধদেব সাউ।
আরও পড়ুন, Duttapukur Blast: দত্তপুকুরে বিস্ফোরণের পিছনে ২ কারণ! কেন এত ব্যাপক অভিঘাত?