Jharkhand Lawyer Arrest Case: রাঁচির আইনজীবী গ্রেফতার মামলা, ওড়িশায় কর্মরত ইডি অফিসারকে জেরা করবে কলকাতা পুলিস

গত ১ অগাস্ট পার্ক সার্কাসের কোয়েস্ট মলের কাছে গ্রেফতার করা হয় রাঁচির আইনজীবী রাজীব কুমারকে। ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। ওই দিনই তাঁকে আদালতে তুলে রাজীবকে ৬ দিনের হেফাজতে পায় কলকাতা পুলিস

Updated By: Aug 8, 2022, 02:51 PM IST
Jharkhand Lawyer Arrest Case: রাঁচির আইনজীবী গ্রেফতার মামলা, ওড়িশায় কর্মরত ইডি অফিসারকে জেরা করবে কলকাতা পুলিস

পিয়ালি মিত্র: রাঁচির আইনজীবী গ্রেফতার মামলায় এবার নয়া মোড়। এক ইডি-র এক ডেপুটি ডিরেক্টর পদমর্যাদার অফিসারকে জেরা করতে চায় কলকাতা পুলিস। এনিয়ে ইডির ওই অফিসারকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে ওড়িশায় কর্মরত ইডির ওই অফিসার। তাঁকে জেরা করতে আগামিকাল ওড়িশা যাচ্ছে কলকাতা পুলিসের একটি দল। উল্লেখ্য, ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ওই ইডি অফিসারের পোস্টিং ছিল রাঁচিতে। ধৃত আইনজীবী রাজীব কুমারের মোবাইল ঘেঁটে ওই ইডি অফিসারের সঙ্গে রাজীবের বেশকিছু সন্দেহজনক কথোপকথন পাওয়া গিয়েছে। দুজনে কী কথা হয়েছিল না জানা যায়নি। তবে সেই কথাবার্তার ভিত্তিতেই ওই ইডির অফিসারকে জিজ্ঞাসবাদ করতে চায় কলকাতা পুলিস। সেই কারণেই আজ ওই ইডি অফিসারকের সমন পাঠানো হয়েছে। আগামিকাল তাঁকে তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন-নিজাম প্যালেস নাকি এসএসকেএম, কোথায় যাবেন অনুব্রত?

উল্লেখ্য, গত ১ অগাস্ট পার্ক সার্কাসের কোয়েস্ট মলের কাছে গ্রেফতার করা হয় রাঁচির আইনজীবী রাজীব কুমারকে। ৫০ লাখ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিস। ওই দিনই তাঁকে আদালতে তুলে রাজীবকে ৬ দিনের হেফাজতে পায় কলকাতা পুলিস। কেন এই গ্রেফতার? কলকাতার এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা করেন রাঁচির ওই আইনজীবী। অভিযোগ, মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিন প্রায় ১০ কোটি টাকা দাবি করেন। এভাবেই রাজীব কুমার কলকাতার ওই ব্যবসায়ীকে ব্ল্য়াকমেইল করার চেষ্টা করেন। কলকাতা পুলিসের দাবি, ওই বিপুল টাকার প্রথম কিস্তি বাবদ ৫০ লাখ টাকা নিতে গিয়েই হাতেনাতে ধরা পড়েন ওই আইনজীবী।

এদিকে, ধৃতের ছেলে অভেদ কুমাদের দাবি, বাবাকে ফাঁসানো হয়েছে। বাবাকে টার্গেট করে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাবাকে ফোন করে একজন বলেছিল দেখা করতে চায়। তার সঙ্গে দেখা করে ১০ মিনিটের মধ্যে ফিরবে বলে আর ফিরে আসেনি। পরে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে ফোন করে বলা হয় বাবা তাদের হেফাজতে রয়েছে। 

অন্যদিকে, ধৃতের আইনজীবী ওইদিন দাবি করেন, ধৃতের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। থানায় যাওয়ার পরও বলা হচ্ছে বড়বাবু আসছেন তিনিই বলতে পারবেন। কাউকে পুলিস ধরলে তার পরিবারের জানার অধিকার রয়েছে তাকে কোথায় রাখা হয়েছে। পুলিস কেন এমন হাইড অ্যান্ড সিক খেলছে তা বুঝতে পারছি না। আদালতে তোলা হলে বিচারক অবশ্য ওই দিন বলেন, ওই আইনজীবীকে গ্রেফতারের পেছনে উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে পারেনি পুলিস।  অভিযোগকারীর বাড়ি সল্টলেকে। অভিযোগ করা হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানায়। ধরা হয়েছে কোয়েস্ট মল থেকে। কাছাকাছি কড়েয়া থানাতেও কিছু বলা হয়নি।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

.