জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) ঘটে যাওয়া মর্মান্তিক ঘটনার এক মাস পেরিয়ে গিয়েছে। এখনও মেলেনি বিচার। এই পরিস্থিতিতে  প্রতিবাদে আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। গত মঙ্গলবার থেকে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থানে জুনিয়র ডাক্তারেরা। পাঁচ দফা দাবির পাশাপাশি এবার তাঁরা রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিকর্তা (ডিএইচএস) এবং স্বাস্থ্য-শিক্ষা অধিকর্তা (ডিএমই)-র ইস্তফাও চেয়েছেন। এই অচলাবস্থা কাটাতে ইতোমধ্য়েই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সাহায্য চেয়ে তাঁকে মেইলও করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) তাঁর ফেসবুকে পোস্ট করে জানালেন যে, এক বামপন্থী যুব সংগঠন ও এক অতি বাম সংগঠনের ভংয়কর চক্রান্ত করেছে ডাক্তারদের ধরনায় হামলা চালানোর। তাঁর নিশানায় রয়েছে বিজেপিও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: 'আমরা আরও অপেক্ষা করব', বৈঠক বানচালের জন্য দায়ী 'প্রশাসনিক জটিলতা'...



কুণাল ঘোষ তাঁর ফেসবুকে যা যা লিখেছেন তা একেবারে হুবহু তুলে ধরা হল...


" সাহেব অর্ডার করেছে সল্টলেক ওড়ানোর জন্যে।"
" অর্ডার করলে উড়িয়ে দে।"


ভয়ঙ্কর কথোপকথন হাতে এসেছে, ওদের সূত্রেই। রাজ্য সরকার ও তৃণমূলকে সমস্যায় ফেলতে বামপন্থী এক যুব সংগঠন ও এক অতি বাম সংগঠনের চক্রান্ত। ডাক্তারদের ধরনায় হামলার। ঘটনাস্থলে যাতায়াত বিজেপির যুবদেরও। পূর্ণাঙ্গ সংলাপে আরও স্পষ্ট রূপরেখা। পুলিশ, প্রশাসন নজর দিন। ওখানে বহিরাগত প্রবেশ থামানো হোক। একটু পরে আরও কিছু অংশ দেব। সব ওই শিবির থেকেই 'লিক' করছে। কারণ, ওদিকেও দুএকজন এই ভয়ানক খেলায় ঢুকতে দ্বিধাগ্রস্ত।'


পূর্ণাঙ্গ অডিয়ো প্রকাশ করে বিস্তারিত এই বিষয়ে কথা বলেছেন কুণাল। সেই অডিয়ো লিংকও দেওয়া হল এখানে।



"স- সাহেব অর্ডার করেছে সল্ট লেক ওড়ানোর জন্য।
ক- অর্ডার হলে করে দে।
স- সবাই প্রশ্ন করছে যারা পার্টনাররা আছে। 
ক- যখন বলেছে, কিছু একটা ভেবেই তো বলেছে।
স- আমি এত বছর এই কাজ করেছি, কোনোদিন ভয়ডর লাগেনি কিন্তু এখন এটাতে বিবেকে লাগছে, করাটা কী ঠিক হবে, ওরা তো লোকের জীবন বাঁচায়।
ক- তোকে তো ফাইট টু ফিনিশ করতে বলেনি।
স- ছেলেরা মদ খেয়ে যায়, মারতে গিয়ে যদি বেহদ কিছু হয়ে যায় সেটা তো চিন্তার বিষয়।
ক- সেটা ওকে বল আমার এরকম মনে হচ্ছে কী করব।
স- বাপ্পাদাকে পার্সোনালি জিজ্ঞেস করেছিলাম, বাপ্পাদা বলল জানোয়ার হয়ে যাইনি এখনও।
ক- ওই মত করেই কর।
স- দাদু বলছে নবান্ন তে মিটিং হয়নি, ওরা তো ফেরত চলে আসবে সল্ট লেকে, ভাববে শাসক মারটা মেরেছে।
ক- হুমম।
স-কী বলল কথাটা কিছু বুঝলে?
ক- হ্যাঁ, বুঝেছি।
স- বলছে পুরো দোষটা দিয়ে আরও অশান্তিটা পাকানো যাবে, কিন্তু কলকাতার কাউকে না, বাইরের। ঠিক আছে দেখছি ওরা তো ওখান থেকে প্রেস কনফারেন্স করছে, আমরা টিভি দেখছি কনটিনিউ, কী করব মাথা ফাটানোটা ঠিক হবে?
ক- দেখ খানিকটা যদি কিছু করা যায়, খানিকটা হলেও কি ব্যাপারটা থাকবে যে ওরাই এটা করালো।
স- দেখছি।"


অন্য়দিকে শুক্রবার চতুর্থ দিনে পা দিয়েছে জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান। বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা স্বাস্থ্য ভবনের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন। গায়ে বর্ষাতি চাপিয়ে ও মাথায় ত্রিপল ধরে দাঁড়িয়েই বিচারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।


আরও পড়ুন: লালারসেই লালসার দাগ! 'নরম' কোনও বস্তুতে মারণ কামড়, সঞ্জয়ের দাঁতচিহ্নেই রহস্যফাঁস?
 


 


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)