তৃণমূলের আন্দোলনে ছিল মাওবাদীরাও, স্বীকারোক্তি সুমনের

ফের বিস্ফোরক কবীর সুমন। পরিবর্তনের আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে কারা ছিলেন তা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি। ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী বললেন কবীর সুমন?  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ছিল মাওবাদীরাও। অকপট স্বীকারোক্তি তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমনের।

Updated By: Jan 4, 2013, 12:20 PM IST

ফের বিস্ফোরক কবীর সুমন। পরিবর্তনের আন্দোলনে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে কারা ছিলেন তা নিয়ে এই প্রথম মুখ খুললেন তিনি। ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানালেন অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কী বললেন কবীর সুমন?  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় আসার লড়াইয়ে তৃণমূলের সঙ্গে ছিল মাওবাদীরাও। অকপট স্বীকারোক্তি তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমনের। তৃণমূলের বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গেই ছিল মাওবাদীরা। এমনকী সিপিআইএমকে সরাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিতে আবেদন করেছিলেন স্বয়ং মাওবাদী শীর্ষ নেতা কোটেশ্বর রাও ওরফে কিষেণজি। ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া এক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে এমটাই জানিয়েছেন কবীর সুমন। 
"জঙ্গলমহলে তৃণমূলের আন্দোলনে মাওবাদীরা ছিল কীনা, সে প্রশ্নরে উত্তর এবার রাজ্যবাসীর সামনে দেওয়া উচিত তৃণমূলের। ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের অবস্থানের পরিবর্তন হয়েছে।" কবীর সুমনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এ কথা বললেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি।
জঙ্গলমহলে তৃণমূলের কোনও সংগঠন ছিল না। নন্দীগ্রামে গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষণ দিত মাওবাদীরা। সোনাচূড়ায় ছিল অস্ত্র কারখানা। কবীর সুমনের জবানবন্দির পরিপ্রেক্ষিতে এমন সব তথ্যই জানালেন সাহিত্যিক মানিক মণ্ডল। তিনি বলেন, "বর্তমানে মাওবাদী বন্ধুদের ভুলে গেছে সরকার।"
সাক্ষাৎকারে তৃণমূল কংগ্রেসের সংস্কৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুমন। ভাঙড়ের জলসাকাণ্ডকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মানতে নারাজ তৃণমূলের এই বিদ্রোহী সাংসদ। তাঁর মতে, রাজ্যজুড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব যা করছে, তারই প্রতিফলন ঘটেছে ভাঙড়ে। "মাথাটা যখন পচতে শুরু করেছে, তখন পা কে দোষ দিয়ে লাভ কী!" ভাঙরের জলসা কাণ্ড নিয়ে এমনই উপলব্ধি কবীর সুমনের।
পার্ক স্ট্রিট কাণ্ড নিয়ে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদারের মন্তব্যেরও তীব্র সমালোচনা করলেন কবীর সুমন। তাঁর প্রশ্ন একজন মহিলা হয়ে কীভাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন?
দলের কাজকর্ম নিয়ে হঠাত্‍ই মুখ খুলেছিলেন কবীর সুমন। আর তার পর থেকেই দলের কাছে ব্রাত্য তিনি। তবে রাজ্যের পট পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তাঁর ভূমিকা অস্বীকার করেন না কেউই। দল তাকে ব্রাত্য করে রাখলেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ইস্যুতে সরব হয়েছেন কবীর সুমন। মাওবাদী নেতা কিষেণজীর মৃত্যুর পর গান বেঁধেছেন তাকে নিয়ে। ছত্রধরের মুক্তির দাবিতে সোচ্চারে গান গেয়েছেন তিনি। এই নিয়ে বারবার বিতর্কের মুখে পড়তে হলেও পিছু হঠেননি বিদ্রোহী সাংসদ। ফের সরব। ব্রিগেড থেকে ভাঙড়। কবীরের সমালোচন থেকে বাদ যায়িনি কিছুই। ২৪ ঘন্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাত্‍‍কারে আরও বেশ কিছু ইস্যুতে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন তিনি। যা অতীতে কখনও করেননি। তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে আলোড়ন গোটা রাজনৈতিক মহলে। দল থেকে এবার বহিষ্কার করা হবে তাঁকে? আর যদি বহিষ্কার করা না হয় তাহলে কী তৃণমূল নেতৃত্ব মেনে নিচ্ছেন তাঁর এই বক্তব্য? কী করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শাস্তি নাকি উপেক্ষা?  রাজনৈতিক মহলের এখন সেটাই জল্পনা।
 
তৃণমূল সাংসদ কবীর সুমনের জবানবন্দি দেখতে ক্লিক করুন এখানে 

.