নিজস্ব প্রতিবেদন : কাঁকুরগাছি হত্যাকাণ্ডে ফের নাটকীয় মোড়। সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে খুন করতে চেয়েছিলেন অমিত। ৬৭ পাতার সুইসাইড নোট থেকে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, স্ত্রী শিল্পীকে খুন করতে সুপারি কিলারের খোঁজ করেছিলেন অমিত আগারওয়াল। সুপারি কিলারের খোঁজে তামিলনাড়ু ও বিহারে গিয়েছিল অমিত। কিন্তু সেই চেষ্টায় সফল হয়নি সে। বেশ কিছুদিন ধরে সুপারি কিলারের খোঁজ করলেও, তারপর লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়াতে পুরো প্রক্রিয়া ভেস্তে যায়। এদিকে অশান্তি বাড়তে থাকে। শেষে নিজে হাতেই স্ত্রী শিল্পীকে খুন করার পরিকল্পনা করে। সেইমতো গুগল, ইউটিউব ঘেঁটে পড়াশোনা শুরু করে অমিত। প্রথমে শুধু স্ত্রীকেই খুনের পরিকল্পনা ছিল অমিতের। পরে নিজেকেও শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে। হিন্দিতে লেখা ৬৭ পাতার সুইসাইড নোট থেকে এই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসাররা। 


অন্যদিকে এই ঘটনায় আজ ফুলবাগান থানায় খুনের মামলা দায়ের করলেন অমিতের শ্বশুর। জামাই অমিত আগরওয়াল ছাড়া আর কেউ এই হত্যালীলার সঙ্গে জড়িত আছে কিনা, তা জানতেই তিনি মামলা দায়ের করেছেন। প্রসঙ্গত শিল্পীর ভাই বিনীত ঢনঢনিয়া জানিয়েছেন, তিনি কর্মসূত্রে গুরুগ্রামে থাকেন। সেদিন তাঁকে কলকাতায় আসার জন্য বার বার ফোন করেন অমিত। মিনিট ১৫-র জন্য রামকৃষ্ণ সমাধি রোডের ফ্ল্যাটে আসার জন্য জোর করা হয় তাঁকে। 


বিনীত ঢনঢনিয়া দাবি করেছেন, শিল্পীকে শেষ করার পর অমিতের পরবর্তী টার্গেট ছিলেন মা, বাবা ও তিনি। কারণ অমিতের সুইসাইড নোটে যাঁর যাঁর নাম লেখা ছিল, তাঁরা সবাই ছিলেন হিট লিস্টে। আর সুইসাইড নোটে তাঁদের প্রত্যেকের নাম রয়েছে। শিল্পীর গোটা পরিবারকে একদিনে একসঙ্গে শেষ করাই ছিল অমিতের লক্ষ্য। 


কাঁকুরগাছি হত্যাকাণ্ডের আরও খবর পড়ুন, 


কোথা থেকে এল আগ্নেয়াস্ত্র! অমিতের গতিবিধির '৪ মিনিট' ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের


বিদেশে চাকরিতে 'বাধা', উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণেই স্ত্রী সহ গোটা পরিবারকে একদিনে শেষ করার ছক!


স্ত্রীকে খুনের ছক থেকে শাশুড়ি-শ্বশুরের প্রতি আক্রোশ! ৫০ পাতার সুইসাইড নোটে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য


কাঁকুরগাছি হত্যালীলা: বেঙ্গালুরুতে স্ত্রীকে খুন করে ছেলেকে নিয়েই কলকাতায় আসেন জামাই অমিত