কামদুনি কাণ্ডের বিক্ষোভ ছড়াল মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে
কামদুনিকাণ্ডে বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল শহর কলকাতায়। গতকাল মহাকরণের অদূরে বাবুঘাটে কামদুনির বাসিন্দাদের বিক্ষোভের পর, আজ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
কামদুনিকাণ্ডে বিক্ষোভের আঁচ এসে পড়ল শহর কলকাতায়। গতকাল মহাকরণের অদূরে বাবুঘাটে কামদুনির বাসিন্দাদের বিক্ষোভের পর, আজ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভে সামিল হলেন বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন মহিলা সংগঠনের জোট মৈত্রেয়ীর প্রতিনিধিরা আজ সকালে পোস্টার-ব্যানার নিয়ে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে। তাঁদের দাবি, রাজ্যে মহিলাদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হাতে স্মারকলিপি দিতে চান তাঁরা।
এছাড়াও কামদুনিকাণ্ডে প্রশাসনিক পদক্ষেপের দাবি জানাতে থাকেন তাঁরা। বারবারই তাঁদের নিরস্ত্র করার চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিসকর্মীরা। পরে অবশ্য বিক্ষোভকারীদের গ্রেফতার করে পুলিস।
আডবাণী বিজেপি ছেড়েছেন। এই খবরের কয়েকঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকে ফেডারাল ফ্রন্টের প্রস্তাব পোস্ট করার সময় পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ঘরের কাছে বারাসতের কামদুনিতে ছদিনেও যাওয়ার সময় হয়নি তাঁর। গণধর্ষণকাণ্ডের সুবিচার চাইতে তাই মহাকরণেই এলেন নিহত ছাত্রীর দাদা এবং ভাই। মহাকরণ সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি চাকরির আশ্বাস ফিরিয়ে দিয়েছেন নিহত তরুণীর দাদা এবং ভাই। তাঁদের দাবি একটাই, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক সরকার।
গত সপ্তাহের শুক্রবার থেকে এসপ্তাহের বুধবার। গত ছদিনে বার বার পথে নেমেছে কামদুনি। শাস্তি চেয়েছে দোষীদের। চেয়েছে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ। চেয়েছে একবার অন্তত কামদুনিতে আসুন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সময় হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। তাই এবার কামদুনির বিক্ষোভ, দাবিদাওয়া কলকাতার রাজপথ হয়ে পৌঁছে গেল মহাকরণের অলিন্দে। গণধর্ষণকাণ্ডের সুবিচার চাইতে বুধবার সন্ধে ছটা নাগাদ মহাকরণে যান নিহত কলেজ ছাত্রীর দাদা ও ভাই। ছিলেন এলাকার আরও চারজন বাসিন্দা। মহাকরণে তাঁদের জন্য প্রস্তুত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব সহ একাধিক মন্ত্রীও। নিহত তরুণীর দাদা, ভাই এবং এলাকার বাসিন্দাদের তাঁরা সরাসরি নিয়ে যান মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে। সেখানে প্রায় পৌনে একঘণ্টা তাঁদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ক্ষতিপূরণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে চাকরির প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় তরুণীর পরিবারকে। তবে চেনা ফর্মূলা এবার কাজে লাগেনি। চাকরির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন নিহত তরুণীর দাদা এবং ভাই দুজনেই। তাঁদের দাবি একটাই, দোষীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করুক রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেওয়া হয়নি তরুণীর পরিবারকে। কড়া পাহারায় মহাকরণ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁদের। তবে এরই মধ্যে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হন তাঁরা।
রাতে কামদুনি ফিরে গিয়েও নিজেদের ক্ষোভ চেপে রাখেননি নিগৃহীতার ভাই ও দাদা। মুখ্যমন্ত্রীর কামদুনি আসার দাবিতে তাঁরা অনড়। পাশপাশি, এলাকায় স্থায়ী পুলিস ক্যাম্প ও কলেজের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলেও জানিয়েছেন নিগৃহীতার দাদা ও ভাই।