দুষ্কৃতী ধরতে গিয়ে শাস্তির কোপে পুলিস
মাথায় শাসকের হাত থাকলেই হাজার দোষেও সাত খুন মাফ। সেই ফাঁকেই আবারও পুলিসের নাগালের বাইরে কসবার কুখ্যাত দুষ্কৃতী সোনা পাপ্পু। বাড়িতে রেড করেও দুষ্কৃতী ধরতে পারেনি পুলিস। উল্টে দুই পুলিস অফিসারের কপালেই জুটেছে শাস্তির খাড়া।
ওয়েব ডেস্ক: মাথায় শাসকের হাত থাকলেই হাজার দোষেও সাত খুন মাফ। সেই ফাঁকেই আবারও পুলিসের নাগালের বাইরে কসবার কুখ্যাত দুষ্কৃতী সোনা পাপ্পু। বাড়িতে রেড করেও দুষ্কৃতী ধরতে পারেনি পুলিস। উল্টে দুই পুলিস অফিসারের কপালেই জুটেছে শাস্তির খাড়া।
সোমবার ভোররাত। পুলিস ঘিরে ফেলে কসবায় বিশ্বজিত্ পোদ্দার ওরফে সোনা পাপ্পুর বাড়ি। দরজায় কড়া নাড়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কসবা থানার সাব ইন্সপেক্টর সিদ্ধার্থ চ্যাটার্জির মোবাইলে রিং। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর বিজনলাল মুখার্জির ফোন।
বিজনের সঙ্গে পাপ্পুর ঘনিষ্ঠতার কথা জানতেন সিদ্ধার্থ। তাই ফোন ধরেননি তিনি। বিজনের ফোন ধরেননি সঙ্গী অফিসার সুমন্ত চ্যাটার্জিও। সেরাতে ব্যর্থ হয় চারটি থানার যৌথ অপারেশন। পাপ্পুর নাগাল পুলিস না পেলেও, পাপ্পুর হাত যে লম্বা তা টের পান কসবার দুই পুলিস অফিসার। বুধবারই হঠাত্ শাস্তির খাড়া নামে কসবা থানার দুই অফিসারের ওপর। শাস্তির খাড়া। থানা থেকে তাদের সরানো হয় ডিভিশনাল রিজার্ভ অফিসে। কাউন্সিলরকে উপেক্ষাই যে শাস্তির কারণ বুঝতেও দেরি হয়নি দুই পুলিস অফিসার এবং তাঁর সহকর্মীদের। যদিও ওপরওয়ালাদের দাবি, দুজনের হাতেই অতিরিক্ত সময় ধরে মামলা ঝুলে থাকায় এই সিদ্ধান্ত। লালবজারের কর্তারা শাস্তির পেছনে কাউন্সিলরের ভূমিকা অস্বীকার করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলরের হয়ে বকলমে এলাকায় প্রমোটিংয়ের ব্যবসা দেখে পাপ্পু। আর তাই গত তিনবছরে কসবা থানায় পাপ্পুর বিরুদ্ধে কম করে বারোটি মামলা থাকলেও বাগে আনা যায়নি এই কুখ্যাত দুষ্কৃতীকে। অভিযোগ যে ভিত্তিহীন নয়, তার ইঙ্গিত মিলেছে খোদ বিজন আর পাপ্পুর স্ত্রীর কথায়।
তবে কী শাসকদলের হাত মাথায় হাত থাকলেই সাত খুন মাফ? মেয়রের ভাইঝি থেকে শুরু করে তারক দাস কিংবা গোপাল তিওয়ারিতো সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। দায়িত্ব পালন করলেই জুটছে তিরস্কার। সেকারণে পাল্লা দিয়ে নিচু তলার পুলিস কর্মীদের মধ্যে বাড়ছে ক্ষোভের আগুন।