চিড়িয়াখানার বাঘ-সিংহের এঁটো মাংসও কি আমাদের খাবার প্লেটে?
বাঘ-সিংহ-জাগুয়ারের জন্য প্রতিদিন মোট ২০-২৫ কেজি মাংস চিড়িয়াখানায় আনা হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : পচা মাংসকাণ্ডে এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য। আলিপুর চিড়িয়াখানার বাঘ-সিংহদের উচ্ছিষ্ট মাংসও কি খোলাবাজারে চালান হচ্ছে? দানা বাঁধছে সন্দেহ। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা।
শুক্রবার আলিপুর চিড়িয়াখানায় যান মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ। তাঁর সঙ্গে কথা হয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের। তখনই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানায়, বাঘ-সিংহের খাওয়ার পরে প্রতিদিন উচ্ছিষ্ট মাংস রামপ্রীত সিং নামে চিড়িয়াখানার ঠিকা কর্মী নিয়ে যান। বাঘ-সিংহ-জাগুয়ারের জন্য প্রতিদিন মোট ২০-২৫ কেজি মাংস চিড়িয়াখানায় আনা হয়। তবে তার সবটা খরচ হয় না। উচ্ছিষ্ট মাংস মাছের খাবার তৈরির জন্য নিয়ে যান রামপ্রীত। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে এমনটাই জানিয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন, ৮ বছরে ২৪ লাখ! মাকে 'বাঁচিয়ে রেখে' পেনশন তুলে যাচ্ছিল ছেলে
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, রামপ্রীত সিং সল্টলেকের এক বাসিন্দা। উচ্ছিষ্ট মাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য মাসে ২৬০০ টাকা পান রামপ্রীত। পচা মাংসকাণ্ডে শহর তোলপাড় হওয়ার পর, এখন এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখতে চান পুর-আধিকারিকেরা। শুরু হয়েছে রামপ্রীতের খোঁজ। মাংস সত্যি সত্যি কোথায় যায়, তার সুলুকসন্ধানে নেমেছে পুরসভা।
আরও পড়ুন, সাপের সঙ্গে সেলফি? কেউটের ছোবলে মৃত হলদিবাড়ির যুবক
তবে এখনও পর্যন্ত রামপ্রীতের নাগাল পায়নি পুরসভা। জানা গেছে, ভিন রাজ্যের বাসিন্দা রামপ্রীত প্রথমে বেলেঘাটায় থাকতেন। পরে ৫-৬ বছর ধরে স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে সল্টলেকে রয়েছেন তিনি। ৭ দিন আগে ঝাড়খণ্ডের ডালটনগঞ্জে গিয়েছেন রামপ্রীত। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারছে না পরিবারও। এদিকে, গোটা ঘটনায় মুখে কুলুপ এঁটেছে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ।