বৃষ্টির দাপটে হাঁটুজলে হাবুডুবু শহর কলকাতা
রাতভর টানা বৃষ্টি। ফের জলবন্দি কলকাতা। এক মাসের মধ্যে দুবার। উত্তর থেকে দক্ষিণ একইঞ্চি বদলায়নি বর্ষায় তিলোত্তমার জলছবি।
ব্যুরো: রাতভর টানা বৃষ্টি। ফের জলবন্দি কলকাতা। এক মাসের মধ্যে দুবার। উত্তর থেকে দক্ষিণ একইঞ্চি বদলায়নি বর্ষায় তিলোত্তমার জলছবি।
বেহালা
জলে ভেসেছে খোদ মেয়রের ওয়ার্ডই। ১৩১ নং ওয়ার্ডে হাঁটুজল। জল ঢুকেছে ওয়ার্ডের বাড়িতে বাড়িতে। জলে ডুবেছে বেহালা চৌরাস্তা ও আশপাশের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাও।
রাতভর বৃষ্টি। সকাল থেকে চেনা ছবি তিলোত্তমার। উত্তর থেকে দক্ষিণ যতদূর চোখ যায় জল শোভন কলকাতা।
ঢাকুরিয়া
যোধপুর পার্কের মতো পশ এরিয়া , কিংবা পঞ্চানন তলার মতো মধ্যবিত্তের ঠিকানা। বাছবিচার করেনি বৃষ্টির জমা জল। ভেসেছে গোটা এলাকাই। রাস্তা ছাপিয়ে জল ঢুকেছে বাড়ির একতলায়. বাড়ির গ্যারাজে।
গড়িয়াহাট
ভেসেছে গড়িয়াহাটও। কর্ণফিল্ড রোডের স্কুল এলাকায় হাঁটুজল। চরম ভোগান্তিতে পড়েছে পড়ুয়ারা।
গল্ফগ্রিন
জলবন্দি গল্ফগ্রিনের বিস্তীর্ণ এলাকা।ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এলাকার মানুষ।
রেসকোর্স
রেড রোড যেন নদী। জল ভেঙে ধীরগতিতে এগিয়েছে গাড়ি। মেঘলা দুপুরে ফুটবল নিয়ে দাপাদাপি কিশোরদের।
মুকুন্দপুর
গতবারের বৃষ্টির জলই নামেনি। নতুন করে বৃষ্টিতে বেহাল মুকুন্দপুর। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে একমাত্র সহায় ছিল রিক্সা। ঝুঁকি নিয়ে তাতেই চেপেছেন রোগীরা।
পার্ক স্ট্রিট
জল রেহাই দেয়নি প্রাণকেন্দ্র পার্ক স্ট্রিটকেও। সকাল থেকে ব্যস্ততার চেনা ছবি উধাও। কোমর জল ঠেলে ঢিমেতালে এগিয়েছে গাড়ি।
আমহার্স্ট স্ট্রিট
বর্ষা আসে, বর্ষা যায়। কিন্তু বৃষ্টিতে বানভাসিই থেকে যায় আমহার্স্ট স্ট্রিট । পথে বেরিয়ে নাকাল নিত্যযাত্রীরা। জলসমুদ্র ঠেলে কোনওরকমে গন্তব্যে পৌছছে বাস।
সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ
জলে ভাসছে মেডিক্যাল কলেজ চত্বর। আশেপাশের গলিতে জল। এক হাঁটু জলের তলায় নীলমাধব সেন লেনের ঝুপড়ি। জলে ডুবেছে বিধান সরনি, এম জি রোড, ঠনঠনিয়া, মুক্তারামবাবু স্ট্রিট।